বুধবার বিকেলে মুম্বইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া থেকে এলিফ্যান্টা গুহা যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে লঞ্চ। —ফাইল চিত্র।
মুম্বইয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় এ বার অভ্যন্তরীণ তদন্তকারী দল (বোর্ড অফ এনকোয়ারি) গঠন করল ভারতীয় সেনা। বুধবার বিকেলে যাত্রিবাহী লঞ্চটিতে ধাক্কা মারে নৌসেনার একটি স্পিডবোট। দুর্ঘটনায় মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে নৌসেনার কর্মীও রয়েছেন। বেশির ভাগ যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনও দুই যাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। নৌসেনার স্পিডবোটের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে থাকে— কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল? নৌসেনা থেকেও জানানো হয়েছিল, তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে। সেই মতো বৃহস্পতিবার একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তকারী দল গঠন করল নৌসেনা। এক বিবৃতিতে বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, কী কারণে দুর্ঘটনা হয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য এই অভ্যন্তরীণ তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরে বুধবারই নৌসেনার তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে জানানো হয়, স্পিডবোটের ইঞ্জিনটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছিল। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারায় সেটি। তার পরেই লঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সেটির। তবে বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখতে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তকারী দল গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নৌসেনা।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত লঞ্চ এবং নৌসেনার স্পিড বোট মিলিয়ে মোট ১১৩ জন যাত্রী (দু’টির চালক এবং কর্মী-সহ) ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৯৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে দু’জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। কিন্তু দু’জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি এখনও। সংবাদ সংস্থা পিটিআই আধিকারিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, নৌসেনার ওই স্পিডবোটে ছ’জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন জীবিত উদ্ধার হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের জন্য দু’লক্ষ টাকা এবং আহতদের পরিবারের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।