বিবাহিত থাকাকালীন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। নায়িকার সঙ্গে বহু দিন প্রেম করে তাঁকে বিয়ে করে দ্বিতীয় স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ের পরেও প্রজাপতি উড়ে বেরিয়েছিল ধর্মেন্দ্রের মনে। ২৭ বছরের ছোট এক অভিনেত্রীর প্রেমে পড়েছিলেন বলিউডের ‘হি ম্যান’।
১৯৫৪ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে প্রকাশ কৌরকে বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। বিয়ের পর বলিউডে পা রেখেছিলেন। অল্প সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়ে যান ধর্মেন্দ্র। বলিউডের ‘হি ম্যান’ নামে পরিচিতি পান। ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে তাঁর মহিলা অনুরাগীর সংখ্যা।
১৯৭০ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘তুম হসীন ম্যায় জওয়াঁ’। এই ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনী। শোনা যায়, এই ছবির শুটিংয়ের সময় হেমার প্রেমে পড়েন অভিনেতা। গোপনে নায়িকার সঙ্গে পরকীয়া চালাতে থাকেন তিনি।
হেমা এবং ধর্মেন্দ্রের কথা জানাজানি হতেই তাঁদের নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। হেমা সংসার ভাঙছেন বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়। বহু বাধা পেরিয়ে ১৯৮০ সালে হেমাকে বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র।
তবে হেমাকে বিয়ের পরেও সংসারে মন বসেনি ধর্মেন্দ্রের। বলিপাড়ার অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায়, এর পর ২৭ বছরের ছোট এক অভিনেত্রীকে মন দিয়ে ফেলেন তিনি।
আশির দশকে ‘করিশ্মা কুদরত কা’, ‘ইনসানিয়ত কে দুশমন’ এবং ‘জলজলা’ নামের হিন্দি ছবিতে ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা যায় অনিতা রাজকে। পেশাগত সূত্রে আলাপ হলেও অনিতার সঙ্গে ধর্মেন্দ্রের বন্ধুত্ব ক্রমশ গাঢ় হতে থাকে।
আড়ালে প্রেম করলেও ধর্মেন্দ্র এবং অনিতার সম্পর্ক আর ব্যক্তিগত থাকেনি। বলিপাড়ায় অনেকেই তা নিয়ে আলোচনা করা শুরু করেন। সেই কথা গিয়ে পৌঁছোয় বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’ হেমার কানেও।
স্বামী সংসার ছেড়ে অন্য অভিনেত্রীর প্রেমে ভেসে বেড়াচ্ছেন, সে খবর পেয়ে রাগ সামলাতে পারেননি হেমা। সরাসরি ধর্মেন্দ্রকে হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। বিয়ের পর নিষ্ঠাভরে সংসার করতেন হেমা। তাই তাঁর সংসারে কোনও ফাটল ধরুক চাইতেন না তিনি।
বলিপা়ড়ার একাংশের দাবি, অনিতার সঙ্গে পরকীয়া এগিয়ে নিয়ে গেলে ধর্মেন্দ্রের ভবিষ্যৎ কী হতে পারে, তাঁর সংসার ভেঙে পড়লে কী কী হতে পারে তা স্বামীকে ভাল ভাবে বুঝিয়ে দেন হেমা।
ধর্মেন্দ্র এবং তাঁর সম্পর্কে কোনও তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি সহ্য করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন হেমা। এমনকি, ধর্মেন্দ্র যদি অনিতার সঙ্গে গোপনেও সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, তা হলে তার ফলও ভাল হবে না বলে হুমকি দেন হেমা।
স্ত্রীর হুমকি শুনে ঘাবড়ে যান ধর্মেন্দ্র। মনের কথা শুনে এগোবেন, না বাস্তব নিয়ে চিন্তা করবেন, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না তিনি। শেষ পর্যন্ত লাভ-লোকসানের হিসাব সেরে ফেলে তিনি পরকীয়ার সম্পর্ককেই বিদায় জানান।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, হেমার সঙ্গে সংসার ভাঙতে চাননি ধর্মেন্দ্র। তাই অনিতার সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানেন তিনি। পরবর্তী কালে যেন দু’জনে কোনও ভাবেই সম্পর্কে জড়াতে না পারেন তা নিয়েও পদক্ষেপ করেন হেমা।
কানাঘুষো শোনা যায়, অনিতার সঙ্গে আর কোনও ছবিতে অভিনয় করবেন না বলে হেমাকে কথা দেন ধর্মেন্দ্র। স্ত্রীর ভয়ে পরকীয়া সম্পর্ক থেকে সরে যান তিনি। এমনকি, স্ত্রীকে দেওয়া কথা রাখতে অনিতার সঙ্গে পরে কোনও ছবিতে অভিনয়ও করেননি ধর্মেন্দ্র।