অভিযুক্ত তৃণমূল

রাত হতেই হুমকি, প্রচার নিয়েও তরজা

নির্বাচন কমিশনের আইন মেনে বুথের একশো মিটারের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারের দেওয়াল লিখন মোছেনি তৃণমূল— এই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াডের আধিকারিক ও পুলিশ কর্মীদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন কংগ্রেস ও সিপিএমের কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:১৪
Share:

নির্বাচন কমিশনের আইন মেনে বুথের একশো মিটারের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারের দেওয়াল লিখন মোছেনি তৃণমূল— এই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াডের আধিকারিক ও পুলিশ কর্মীদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন কংগ্রেস ও সিপিএমের কর্মীরা। শনিবার রাত সওয়া দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জের চার নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রপল্লি এলাকায়।

Advertisement

কংগ্রেস ও সিপিএমের অভিযোগ, ওই এলাকার একটি বুথের সামনে তৃণমূলের নির্বাচনী প্রচারের চারটি দেওয়াল লিখন প্রচার শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও মোছা হয়নি। এই বিষয়ে কমিশনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি বলে তাঁদের দাবি। প্রতিবাদে এ দিন সন্ধ্যায় কংগ্রেস ও সিপিএমের কর্মীরা ফের ওই বুথের একশো মিটারের মধ্যে একাধিক দলীয় পতাকা লাগিয়ে দেন। খবর পেয়ে ফ্লাইং স্কোয়াডের আধিকারিক ও পুলিশকর্মীরা এলাকায় পৌঁছতেই কংগ্রেস ও সিপিএম কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন।

প্রায় এক ঘণ্টা বিক্ষোভ চলার পর প্রশাসনিক উদ্যোগে তৃণমূলের নির্বাচনী প্রচারের সব কটি দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়া হলে জোটের কর্মী সমর্থকেরাও তাঁদের দলীয় পতাকা খুলে নেন।

Advertisement

স্থানীয় কংগ্রেস কাউন্সিলর আদেশ মাহাতো ও সিপিএমের রায়গঞ্জ লোকাল কমিটির সদস্য প্রাণেশ সরকার বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আমরা অভিযোগ জানানোর জানানোর পরেও ফ্লাইং স্কোয়াড ও পুলিশ ওয়ার্ডে আসেনি। কিন্তু প্রতিবাদ জানিয়ে যখন আমরা বুথের একশো মিটারের মধ্যে দলীয় পতাকা লাগালাম, তখন তৃণমূলের অভিযোগে ওরা আমাদের পতাকা খুলতে ওয়ার্ডে হন্তদন্ত হয়ে এল।’’

উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘কংগ্রেস ও সিপিএমই বুথের একশো মিটারের মধ্যে দলীয় পতাকা লাগিয়েছিল। তা হলে আমরাই বা কেন দেওয়াল লিখন মুছবো?’’ নিরপেক্ষতার প্রশ্ন নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ-প্রশাসন তা মানতে চায়নি।

উত্তরবঙ্গের অন্য জায়গা থেকেও খুচরো গোলমালের খবর এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী জেমস কুজুরের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে। আরএসপি নেতা দীপক দাসের দাবি, তৃণমূল কর্মীরা ধানতলি এলাকায় গিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের হুমকি দিচ্ছেন, ভয় দেখাচ্ছেন।

আরও অভিযোগ, আরএসপি নেতাদের বাড়ি গিয়েও চড়াও হচ্ছেন তৃণমূলের লোকজন। কারও কারও বাড়িতে পতাকা লাগিয়ে দিয়ে আসেন। রাতের দিকে মধ্য কামাক্ষ্যাগুড়িতে গিয়ে বাড়ি বাড়ি একই ভাবে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তবে পুলিশ এলে তারা পালিয়ে যায় বলেও জানা গিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, হেরে যাওয়ার ভয়ে বিরোধীরা এ সব ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement