জুটি: সুইটি ও ট্রফি (ডানদিকে)। নিজস্ব চিত্র
বন ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষা ও অপরাধ দমনে শনিবার বক্সা ও জলদাপাড়ার জঙ্গলে কাজে যোগ দিল দুই জার্মান শেফার্ড সুইটি ও ট্রফি।
উত্তরের দুই জঙ্গলের ডগ স্কোয়াড আরও অনেক বেশি শক্তিশালী হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বন দফতর সূত্রের খবর, বছর তিনেক আগে বক্সাতে প্রথম গোয়েন্দা কুকুর হিসাবে এসেছিল বেলজিয়াম ম্যালিনয়িস প্রজাতির করিম। তার পরে বক্সার জঙ্গলেই আসে জার্মান শেফার্ড প্রজাতির লিজ়া।
জলদাপাড়ার জঙ্গলে আসে রানি। এদের মধ্যে অবশ্য একের পর এক অপরাধের কিনারা করে গোটা দেশেই নাম করে করিম। একটি সংস্থার তরফে দেশের সেরা গোয়েন্দা কুকুরের সম্মানও পায় সে। এই দক্ষতার জন্যই বন দফতরের কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ের পুলিশের কাজেও ডাক পড়ে করিমের। তবে বক্সার জঙ্গলে ডগ স্কোয়াডে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন করিমের চাপ কিছুটা হলেও কমবে বলে আশাবাদী বন দফতরের কর্তারা। সূত্রের খবর, বক্সা ও জলদাপাড়ায় বন দফতরের কাজে যোগ দেওয়া দুই জার্মান শেফার্ড সুইটি ও ট্রফির বয়স প্রায় দেড় বছর। গত ন’মাস ধরে ভুপালের স্নিফার ডগ ইনস্টিটিউটে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তার পরেই তাদের নিয়ে বনকর্মীরা উত্তরের এই দুই জঙ্গলে পাড়ি দেন। শুক্রবারই তাঁরা সুইটি ও ট্রফিকে নিয়ে আলিপুরদুয়ারে পৌঁছন। শনিবার দুই জার্মান শেফার্ড কাজে যোগ দেয়। এর ফলে বক্সার ডগ স্কোয়াডে গোয়েন্দা কুকুরের সংখ্যা বেড়ে হল তিন। আর জলদাপাড়ায় সংখ্যাটা বেড়ে হল দুই।
ডগ স্কোয়াডে গোয়েন্দা কুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধিতে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি বক্সা ও জলদাপাড়ার বন কর্তারা। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে উপ ক্ষেত্র অধিকর্তা কল্যাণ রাই বলেন, ‘‘আমাদের ডগ স্কোয়াডে আরও এক সদস্যের সংখ্যা বাড়ল।’’
জলদাপাড়া জঙ্গলে বিভিন্ন সময়ে চোরাশিকারীদের আক্রমণে প্রাণ যায় গণ্ডার ও নানা বন্যপ্রাণীদের। এই অবস্থায় জলদাপাড়ার সহকারী বন্যপ্রাণ সাহয়ক দেবদর্শন রায়ও বলেন, ‘‘গোয়েন্দা কুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যপ্রাণ সংক্রান্ত অপরাধ দমনে অনেকটাই সুবিধা হবে।’’