Mohan Basu

ষড়যন্ত্র হয়েছে, দাবি করলেন মোহন

প্রশাসক বোর্ড থেকে মোহনকে বাদ দেওয়ার পিছনে বর্তমান জেলা নেতৃত্বের প্রস্তাব রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের বিভিন্ন গোষ্ঠীর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২০ ০৭:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি

তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার, পুরসভার প্রশাসক বোর্ড থেকে বাদ পড়ার পরে প্রথমবার মুখ খুলে এমনই অভিযোগ করলেন মোহন বসু। সতেরো বছর ধরে জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। তাঁর দাবি, তাঁকে বাদ দিয়ে পুরসভার প্রশাসক বোর্ড গড়ার সিদ্ধান্ত দলের রাজ্য নেতৃত্ব জানেন না। তাঁর আরও দাবি, যে বা যারা এই যড়যন্ত্র করেছেন তাঁরা আগামী পুরভোটে জলপাইগুড়ি মানুষের থেকে যোগ্য জবাব পাবেন। মোহনের হাত ধরেই জলপাইগুড়ি পুরবোর্ডে এসেছে তৃণমূল, সেই তিনিই শনিবার নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়েও জল্পনা উস্কে দিয়েছেন। শহরের বেগুনটারি মোড়ের বাড়িতে বসে মোহন বলেন, “রাজনীতিতে কালকে কী হবে কেউ বলতে পারে না। আমারও তো কিছু অনুগামী রয়েছেন। আলোচনা করার দরকার আছে। তাঁদের সঙ্গে আলোচতনা করেই আগামী দিনের কথা ভাবা যাবে।”

Advertisement

প্রশাসক বোর্ড থেকে মোহনকে বাদ দেওয়ার পিছনে বর্তমান জেলা নেতৃত্বের প্রস্তাব রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের বিভিন্ন গোষ্ঠীর। শুক্রবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি পুরসভায় প্রশাসক বসানোর নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসে। দেখা যায় চেয়ারম্যান মোহন বসুকে সরিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া পালকে মাথায় বসানো হয়েছে। শনিবার সকালেই মোহনের বাড়িতে পৌঁছে যান জলপাইগুড়ির প্রাক্তন সাংসদ তথা এসজেডিএ-এর চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মণ। পরে তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, “মোহনবাবুকে প্রশাসক বোর্ডে না রাখায় সকলেই হতাশ। জলপাইগুড়ির মানুষ আশাহত। এই সিদ্ধান্তে উন্নয়নের কাজে ক্ষতি হবে, সংগঠনেও ক্ষতি হবে। মোহনদার মতো মানুষকে দরকার আছে।” তৃণমূলের অন্দরের খবর, জেলা রাজনীতির সমীকরণে বিজয়চন্দ্র বর্মণ জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর বিরোধী বলেই পরিচিত। মোহনকে বাদ দেওয়া প্রসঙ্গে জেলা সভাপতিকেই ইঙ্গিত করে বিজয়চন্দ্র বলেন, “নিশ্চই স্থানীয়স্তর থেকে কিছু জানানো হয়েছিল। যে যাই করুক না কেন সাংগঠনিক ক্ষেত্রে বা রাজনীতির ক্ষেত্রে এতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ হওয়া উচিত নয়।”

বিজয়চন্দ্র বর্মণকে পাল্টা বিঁধেছেন দলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার (কিষাণ) কল্যাণী। কিষাণের বক্তব্য, “সংগঠনের ক্ষতি কারা করেছে আমরা জানি। তাঁদের জন্যই গত লোকসভা ভোটে জলপাইগুড়িতে হার হয়েছে। দলনেত্রী তো ওঁকে ভোটে লড়তে সুযোগ দিয়েছিলেন, উনি হেরে গেলেন কেন? সংগঠনের ক্ষতি হল না বৃদ্ধি হল তা আগামীতে বোঝা যাবে।” মোহন বসুকে সরানোর সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক বলেই দাবি জেলা সভাপতির। কিষাণ বলেন, “আমি যতদূর জানি মোহনবাবু অসুস্থ। তাই হয়ত করোনার সময়ে অতিরিক্ত প্রশাসনিক চাপ তাঁকে দেওয়া হয়নি। তিনি যদি সুস্থ থাকেন তবে ওপরমহলে জানাতে পারেন।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement