মউ সাক্ষর হচ্ছে দুই দেশের পর্যটন সংস্থার প্রতিনিধিদের মধ্যে। নিজস্ব চিত্র।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালুর দাবি উঠল। শুক্রবার বিকেলে শিলিগুড়ির দুই মাইল এলাকায় ভারত এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটন সংগঠনের একটি যৌথ আলোচনা সভায় ওই দাবি তোলা হয়েছে। এ বিষয়ে দেশের ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অপারেটর্স, ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল, অ্যাসোসিয়েশন অব ডোমেস্টিক ট্যুর অপারেটর্স অব ইন্ডিয়ার মত সংগঠনগুলোর সঙ্গে একযোগে ওই দাবি কেন্দ্রীয় বিমান মন্ত্রকে লিখিতভাবে পাঠানোর কথাও জানিয়ে দিয়েছে বণিক সভা সিআইআই।
হিমালয়ান হসপিটালি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের (এইচএইচটিডিএন) তরফে মনসুন ট্যুরিজম মিট-২০১৯ নাম দিয়ে ওই সভার আয়োজন হয়েছে। সেখানে দেশের এবং রাজ্যের ছ’টি সংগঠন একযোগে বাংলাদেশের ঢাকা এবং রংপুর থেকে বাগডোগরায় বিমান চলাচল শুরুর দাবি তোলেন। সিআইআই-র উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের ভাইস চেয়ারম্যান সঞ্জিৎ সাহা বলেন, ‘‘পর্যটন এবং শিল্পের বিকাশে আমরা মন্ত্রকে পর্যটন সংগঠনগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে দাবি জানাব।’’
এইচএইচটিডিএনের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের প্রতিনিধি গত ক’দিন ধরেই উত্তরবঙ্গের পাহাড়, ডুয়ার্স এবং তরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছেন। এক দশক পরে সিকিমের পর্যটনের সুযোগ বাংলাদেশিদের জন্য খুলে যাওয়ায় ওই দেশের প্রচুর পর্যটকের এই অঞ্চল সম্পর্কে আকর্ষণ বেড়েছে।
বাংলাদেশের সংগঠনটির সহ সভাপতি ইফতিকার আলম ভুঁইয়া রাসেল বলেন, ‘‘ভারতে আসা পর্যটকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে আমাদের আলাদা টান রয়েছে। আমরা নতুন নতুন এলাকা ঘুরে দেখলাম। দু’দেশের সংগঠনের তরফে এবার যৌথভাবে প্রচার ও প্রসার করা হবে। এরজন্য ওই বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি।’’
এ দিনের সভায় বিমান যোগাযোগ ছাড়াও ভিসার সরলীকরণ, মুদ্রা বিনিময় নীতি, ভারত-বাংলাদেশ-নেপাল-ভুটানকে নিয়ে একযোগে সার্কিট তৈরি নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সামনে দার্জিলিং, কালিম্পং জেলার বিভিন্ন এলাকা তুলে ধরা হয়।
সভার উদ্যোক্তা এইচএইচটিডিএনের পক্ষে রাজ বসু, সম্রাট সান্যালেরা জানান, এ দিন যৌথ পর্যটন প্রসারের জন্য কী কী করণীয় তা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে বাংলাদেশের সংগঠনটির মউচুক্তি হয়েছে। এ বার তা দু’দেশের মন্ত্রক পর্যায়ে পাঠানো হবে।