Goutam Deb

পাহাড় নয়, অন্য ঠিকানার ভাবনা গৌতমের

পর্যটন দফতর ও উদ্যানপালন দফতরের উদ্যোগে এ দিন থেকে মালদহের নারায়ণপুরের একটি বিলাসবহুল হোটেলে শুরু হল আম ও পর্যটন উত্সব। এখানে প্রায় ৭০টি প্রজাতির আম প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছে। উত্সব চলবে রবিবার পর্যন্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৭ ০৩:৩৮
Share:

উদ্বোধন: মালদহে মন্ত্রী গৌতম দেব। নিজস্ব চিত্র

পাহাড়ের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জেরে পর্যটকদের কাছে বৈচিত্র্য আনতে বিকল্প ভাবনার ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। এ জন্য ডুয়ার্স ও উত্তরবঙ্গের অন্য পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে বেশি করে পর্যটকদের টানতে উদ্যোগের কথাও জানালেন তিনি। শনিবার মালদহে আম ও পর্যটন উত্সবের উদ্বোধন করতে এসে এমনই ইঙ্গিত দিলেন গৌতম দেব।

Advertisement

এ দিন গৌতমবাবু বলেন, ‘‘পাহাড়ের এখন যা পরিস্থিতি হচ্ছে, তাতে ডুয়ার্স-সহ উত্তরবঙ্গের অন্য জায়গাতে বিকল্প পর্যটনে জোর দিতে হবে। পর্যটনে মানুষের মধ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে। এই ভাবনা আমরা শুরু করেছি। ডুয়ার্সে একটি অর্কিড পার্ক হচ্ছে। টি-ট্যুরিজম রয়েছে। আরও কীভাবে পর্যটনের বিকাশ করা যায় তা দেখা হচ্ছে।’’

পর্যটন দফতর ও উদ্যানপালন দফতরের উদ্যোগে এ দিন থেকে মালদহের নারায়ণপুরের একটি বিলাসবহুল হোটেলে শুরু হল আম ও পর্যটন উত্সব। এখানে প্রায় ৭০টি প্রজাতির আম প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছে। উত্সব চলবে রবিবার পর্যন্ত। উত্সবের উদ্বোধন করে মন্ত্রী বলেন, ‘‘মালদহে গৌড়, আদিনা, জগজীবনপুর প্রভৃতি ঐতিহাসিক স্থানকে ঘিরে পর্যটনের পরিকাঠামোও রয়েছে। মালদহ জেলার এই আম ও পর্যটনকে দেশ তথা বিদেশের দরবারে তুলে ধরতে হবে এবং এজন্যই এ ধরনের উত্সব।’’ তিনি জানান, পর্যটকদের কেউ প্রকৃতি ভালবাসেন, কেউ আবার ধর্মীয় স্থান বা ঐতিহাসিক স্থানেও ঘুরতে ভালবাসেন। তাই মালদহের গৌড়, আদিনা, জগজীবনপুর বা মুর্শিদাবাদ জেলার হাজারদুয়ারি, পলাশিকে ঘিরে যে ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে সেগুলিকে নিয়ে একটি সার্কিট ট্যুরিজম করার ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

Advertisement

এদিন আম উত্সব উদ্বোধনের পাশাপাশি মালদহ জেলার পর্যটন বিকাশে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। পরে তিনি আদিনা ডিয়ার পার্ক, আদিনা মসজিদ, গৌড়ের স্থাপত্য প্রভৃতি পর্যটন কেন্দ্রগুলি পরিদর্শন আদিনা মসজিদে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড ব্যবস্থা বসানো হলেও তা চালু না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে তিনি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার কলকাতা দফতরের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান। সাগরদিঘিতে থাকা এশিয়ার সবচেয়ে বড় সরকারি মৎস্য খামারটিও পরিদর্শন করেন। সেখানে পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করতে পরিকল্পনা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement