অমান্য: পুলিশের দেওয়া গার্ড ওয়াল পেরিয়েই অবাধে যাতায়াত বালুরঘাট বাস স্ট্যান্ড এলাকায়। ছবি: অমিত মোহান্ত
কোনও দিন আক্রান্ত হচ্ছেন ৭৪ জন, কোনও দিন ৯৪, এক দিনে ১২১ জনও— মালদহে এত বেশি হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে কেন, সেই প্রশ্নই উঠছে।
জেলাবাসীর একাংশের বক্তব্য, পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফেরার পরে সংক্রমণ বাড়ছে— সেই তত্ত্ব এখন কার্যত ঠিক নয়। তবে সংক্রমণ কেন এত ছড়াচ্ছে?
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, "ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি আমরা মানবিক। কিন্তু এটা অস্বীকার করলে চলবে না যে তাঁদের হাত ধরেই এই জেলায় সংক্রমণ শুরু হয়েছে।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আর এক কর্তার যুক্তি, ‘‘লকডাউন বিধি বা স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ ভাবে মানেননি বাসিন্দাদের একাংশ। এখনও অনেকে মাস্ক পড়ছেন না। বাজারে সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। অনেকে আড্ডা দিচ্ছেন চায়ের দোকানে। বিশেষ করে যুবসমাজের মধ্যে এই প্রবণতা খুবই বেশি। যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে।"
তবে জেলায় সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দফতর এবং প্রশাসনের গাফিলতির দিকেই আঙুল তুলেছেন জেলার বাসিন্দাদের একাংশ। একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, ভিন্ রাজ্য থেকে যখন পরিযায়ী শ্রমিকেরা জেলায় ফেরেন তখন প্রথম দিকে তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও ইনস্টিটিউশনাল কোয়রান্টিনে না রেখে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বেশিরভাগ শ্রমিকের বাড়িতে ১৪ দিন নিভৃতবাসে থাকার পরিকাঠামো নেই। ফলে তাঁরা পরিবার, প্রতিবেশীদের সঙ্গে মেলামেশা করেছেন। তাতেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। অভিযোগ, লালারসের নমুনা পরীক্ষার হারও প্রথম দিকে কম ছিল। ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা অনেক শ্রমিকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। ফলে তাঁদের কেউ সংক্রমিত হয়ে থাকলে, তাঁর থেকে অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা অবশ্য বলেন, ‘‘কঠোর লকডাউন এবং লালারস পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে সংক্রমণের গতি কমানোর চেষ্টা চলছে। সচেতনতার বিষয়টিতেও জোর দেওয়া হয়েছে।’’
উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে