Coronavirus

লকডাউন হচ্ছে শহরের কাছেও

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বৃহত্তর শিলিগুড়ি বলতে জলপাইগুড়ি জেলার ডাবগ্রাম, ফুলবাড়ি. বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত মিলিয়ে মোট ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২০ ০৪:০০
Share:

তালা বন্ধ: বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি পুরসভা। ছবি: স্বরূপ সরকার

শিলিগুড়ি শহরে সংক্রমণ ঠেকাতে বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের জন্য সার্বিক লকডাউন শুরু হল। কিন্তু শহর লাগোয়া এলাকাগুলির কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে প্রশাসনে। বিশেষ করে মাটিগাড়া, বাগডোগরা, নকশালবাড়ির মতো এলাকায় ক্রমশ বাড়ছে করোনার প্রকোপ। তবে এখনই লকডাউন নয়, কড়া কনটেনমেন্ট জ়োন করা হবে মহকুমার বেশ কিছু এলাকাকে। এ দিন থেকেই শুরু হয়েছে এলাকা ধরে পরিস্থিতি বিবেচনার কাজ। শহর লাগোয়া আরেক প্রান্তের ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে অবশ্য লকডাউনের পথে প্রশাসন। সেখানকার স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে সাত দিনের লকডাউনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এদিন রাতে জেলা প্রশাসন অবশ্য লকডাউনের পথে না গিয়ে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির ২৮ টি এলাকাকে কনটেনমেন্ট জ়োন হিসাবে ঘোষণা করেছে।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বৃহত্তর শিলিগুড়ি বলতে জলপাইগুড়ি জেলার ডাবগ্রাম, ফুলবাড়ি. বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত মিলিয়ে মোট ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত। এ দিন রাজগঞ্জ ব্লক প্রশাসন বৈঠক করে আজ, শুক্রবার থেকে ২৩ জুলাই অবধি এই গোটা এলাকায় লকডাউনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এলাকার সব পঞ্চায়েত প্রধানের সম্মতি নিয়ে ব্লক প্রশাসন তা জানিয়েছে জেলাশাসককে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে ঘোষণা করলেই লকডাউন কার্যকরী হয়ে যাবে। স্থানীয় বিধায়ক তথা পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, ‘‘যেখানে যেমন পরিস্থিতি, তা দেখে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’’ প্রশাসনিক অফিসারেরা জানিয়েছেন, শিলিগুড়ি পুরসভার সংযোজিত ওয়ার্ডে আরও ৪০ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। দুই অঞ্চলে যাতায়াত লেগেই থাকে। তাই সেখানে লকডাউন প্রয়োজন।

এর বাইরে রয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমার মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি এবং ফাঁসিদেওয়া ব্লক। মাটিগাড়া ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ ছাড়িয়েছে। একই রকম সংখ্যা নকশালবাড়ি ব্লকেও। সংক্রমণ রয়েছে ফাঁসিদেওয়া, খড়িবাড়িতেও। এই সব এলাকায় গত সপ্তাহের আগে কনটেনমেন্ট জ়োন এলাকাভিত্তিক করার পরিকল্পনা নেয় প্রশাসন।

Advertisement

দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পুন্নম বল্লম বলেন, ‘‘মোট সংক্রমণের ৩০-৪০ শতাংশ শিলিগুড়ি মহকুমার বিভিন্ন গ্রামীণ এবং শহর লাগোয়া এলাকা থেকে এসেছে আমরা আলোচনা করছি, মহকুমার কিছু অংশ কড়া কনটেনমেন্ট করা হবে। মাটিগাড়া, চম্পাসারির মতো কিছু এলাকা আবার চিহ্নিত করা হচ্ছে। মহকুমার বাইরে সুকনা এবং শালবাড়ি নিয়েও ভাবছে প্রশাসন।’’

উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement