ধুপগুড়ি উপনির্বাচনে জেতার পর শিলিগুড়িতে যুবতৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উল্লাস ছবিঃ বিনোদ দাস।
ধূপগুড়িতে গত বিধানসভা ভোটে হারানো আসন পুনরুদ্ধার করল শাসক দল। শুক্রবার ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনে শাসক দলের প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের জয়ের পিছনে তৃণমূলের ‘মহকুমা-তাস’ই অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। দলের একাংশ মনে করছে, উপনির্বাচনের ঠিক মুখে ধূপগুড়িকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মহকুমা ঘোষণার যে প্রতিশ্রুতি দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দিয়ে গিয়েছিলেন, সে বার্তাই আখেরে খেল দেখিয়েছে ব্যালট বাক্সে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রতিশ্রুতিই বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়ের বিরুদ্ধে টক্করের মুখে জিতিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের নির্মলচন্দ্র রায়কে।
স্থানীয় নাগরিক মঞ্চের আশা, তৃণমূলের এই জয়ের ফলে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ধূপগুড়িকে মহকুমা করার পথে বাধা থাকছে না। তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশকুমার সিংহের দাবি, ‘‘মানুষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে আস্থা রেখেছেন এবং ধূপগুড়িকে মহকুমা বানানোর লক্ষ্যে ভোট দিয়েছেন। এর সুফল মানুষ পাবে।’’
উপনির্বাচনের প্রচারের শুরুতে অনেকটাই পাল্লা ভারী ছিল বিজেপির। গত ২ সেপ্টেম্বর ঠাকুরপাঠের জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধূপগুড়িকে মহাকুমা ঘোষণা করার সময়সীমা বেঁধে দেন আগামী ৩১ ডিসেম্বর। তার পর থেকেই প্রচারের পালে হাওয়া লাগে। একাংশের দাবি, মানুষের মুখে-মুখে মহাকুমার প্রচারে অনেকটাই লাভবান হয়েছে তৃণমূল। যার প্রতিফলন দেখা গেল ফলাফলে। গত বিধানসভা নির্বাচনে ধূপগুড়ি শহর এলাকায় অনেকটাই পিছিয়ে ছিল শাসক দল। এমনকি, উপনির্বাচনের প্রচারে শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক অবস্থাও খুব একটা সুবিধার ছিল না। সে জায়গায় দাঁড়িয়ে ধূপগুড়ি শহর এলাকায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনের থেকে এই উপনির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির ব্যবধান অনেকটাই কমল। যদিও শহর এলাকায় শাসক দল পিছিয়ে। এই পরিস্থিতিতে শাসক থেকে বিরোধী—সকলেই মেনে নিয়েছে মহকুমা ঘোষণাই তুরুপের তাস হয়েছে তৃণমূলের। ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চের আহ্বায়ক জয় বসাক বলেন, ‘‘রাজ্যে যে দল ক্ষমতায় রয়েছে, মহকুমা তাদের হাতেই গঠন হওয়া সম্ভব। তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায় জেতায়, আমরা আশাবাদী, নির্দিষ্ট সময়সীমার অনেক আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কথা রাখবেন এবং ধূপগুড়ি মহকুমা ঘোষণা হবে।’’