আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেব বল্লভকে। — নিজস্ব চিত্র।
মালদহের স্কুলকাণ্ডে ধৃত দেব বল্লভ উন্নত মানের আগ্নেয়াস্ত্র পেলেন কোথা থেকে? এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, বিহার বা ঝাড়খণ্ড থেকে ওই আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন দেব। এ নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এ ছাড়া তিনি বিস্ফোরক কী ভাবে পেলেন তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দেবকে হাজির করানো হয়েছিল আদালতে। তাঁকে ৭ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
বুধবার মালদহের মুচিয়ার চন্দ্রমোহন হাই স্কুলে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা এবং ছুরি নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন দেব। সশস্ত্র অবস্থায় তিনি সরাসরি ঢুকে পড়েন সপ্তম শ্রেণিতে। সেখানে তখন চলছিল বাংলার ক্লাস। শিক্ষিকাকে থামিয়ে দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি দিতে থাকেন শিক্ষিকা এবং পড়ুয়াদের। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে তাণ্ডব। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশকর্মী এবং অন্যেরা মিলে সেই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করেন সকলকে। গ্রেফতার করা হয় দেবকে। দেবের কাছ থেকে মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র (৭.৬৫ মিলিমিটার), ২টি ছুরি এবং ২টি পেট্রল বোমা। আগ্নেয়াস্ত্র গুলি ভর্তি ছিল বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘এই ঘটনার পিছনে কী কারণ, তা খতিয়ে দেখতে ধৃতকে জেরা করা হবে। এর পিছনে অন্য কারও যোগসাজশ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। ধৃত কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন, বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ কোথা থেকে পেয়েছেন তা জেরার পর স্পষ্ট হবে।’’ ধৃতকে কাউন্সেলিং করা হবে বলেও জানিয়েছেন মালদহের পুলিশ সুপার।
বৃহস্পতিবার দেবকে তোলা হয় আদালতে। সেই সময় তিনি বলেন, ‘‘প্রশাসন আমাকে এই রাস্তা নিতে বাধ্য করেছে। আমি ইচ্ছাকৃত ভাবে করিনি। প্রশাসন আমাকে জোর করে করিয়েছে এটা।’’ দেবের বিরুদ্ধে অনধিকার প্রবেশ, বেআইনি অস্ত্র রাখা, খুনের চেষ্টা, সরকারি কাজে বাধাদান-সহ নানা ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।