প্রতীকী ছবি।
ডিজিটাল রেশন কার্ড এখনও হাতে পাননি শিলিগুড়ি মহকুমার চা বাগানগুলির একাধিক উপভোক্তা। সে কারণে তাদের রেশন বরাদ্দও বন্ধ হতে চলেছে।
খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ডিজিটাল রেশন কার্ড না থাকলে রেশন বন্ধের ঘোষণা করেছে খাদ্য দফতর। এর ফলে সমস্যায় পড়তে চলেছেন চা বাগানের স্থায়ী, অস্থায়ী শ্রমিকদের অনেকেই। দফতরের আধিকারিকেরা অবশ্য এ জন্য উপভোক্তাদের উদাসীনতা এবং তাঁদের প্রয়োজনীয় নথির সমস্যার কথাই জানাচ্ছেন। যদিও উপভোক্তাদের অভিযোগ, অনেকে কয়েক মাস আগে আবেদন করলেও তাঁদের ডিজিটাল রেশন কার্ড দেওয়া হয়নি।
পাশাপাশি, দুর্নীতির অভিযোগও উঠছে। বাগান শ্রমিকদের রেশন কার্ডের সঙ্গে রেশন আটকে দিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ তুলছেন শ্রমিকদের একাংশ।
দার্জিলিং জেলা খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ ঘোষণার পরে ডিজিটাল কার্ড তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। মহকুমার ছোট-বড় ৪১টি চা বাগানের ৮০ শতাংশের বেশি শ্রমিক ডিজিটাল কার্ড পেয়েছেন। তবে অনেকে আবেদন করলেও তাঁদের কাগজপত্রে নানা ভুল রয়েছে বলে দাবি। কারও সঠিক নথি নেই।
দফতরের পক্ষ থেকে প্রত্যেক চা বাগানে শুরু হয়েছে নতুন করে ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদনপত্র নেওয়ার কাজ। নতুন যাঁরা আবেদন করছেন, তাঁরা এ মাসের শেষে কার্ড না পেলে তাঁদের রেশন বন্ধ হতে পারে বলে আধিকারিকরা জানাচ্ছেন।
জেলা খাদ্য দফতরের এক অফিসার বলেন, ‘‘কোনও উপভোক্তা যাতে ডিজিটাল রেশন কার্ড থেকে বাদ না যান তা দেখা হচ্ছে। যাঁদের আবেদন নেওয়া হচ্ছে, রেজিস্ট্রেশনের ভিত্তিতে তাঁরা যাতে রেশন পেতে পারেন তা বিবেচনা করা হচ্ছে।’’
অভিযোগ, এতদিন পেপার কার্ডে পরিবার প্রতি চাল, গম মিলে ৩৫ কেজি করে রেশন পেতেন বাগান শ্রমিকেরা। ফলে পরিবার ভাঙার প্রবণতা দেখা দিয়েছিল। ভুয়ো পরিবার দেখিয়ে রেশন তোলার অভিযোগও উঠছিল। খাদ্য দফরের আধিকারিকেরা তদন্ত করে বেশকিছু এমন ভুয়ো পরিবারের রেশন কার্ড বাতিল করেছিলেন বলে দাবি। ডিজিটাল রেশন কার্ড থাকলেও এখনও ৩৫ কেজি করেই রেশন পাচ্ছেন শ্রমিকেরা। এ বার পরিবার ভেঙে ডিজিটাল রেশন কার্ড করার অভিযোগও উঠছে। তাতে অনেকে সমস্যায় পড়ছেন বলে দাবি।
শ্রমিকদের একাংশের দাবি, বাগানের মজুরিতে সংসার চলে না। রেশনের খাদ্যশস্যেই অনেকে দিন গুজরান করেন। বন্ধ হলে তাঁদের চলবেন কী করে জানেন তাঁরা।