প্রতীকী ছবি।
শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তফসিলি জাতির শংসাপত্র নিজের নামে বের করার অভিযোগ আবার উঠল। শনিবার দার্জিলিং জেলা রিটার্নিং অফিসার তথা জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া পি’র কাছে এই অভিযোগ জমা করে কংগ্রেস। কংগ্রেসের অভিযোগ, স্কুল স্তরে রঞ্জনবাবু তফসিলি জাতিভুক্ত হওয়ার কোনও শংসাপত্র কোনও দিনই দাখিল করেননি। কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর প্রভাব খাটিয়ে তা বের করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতারা। যদিও বিষয়টি খতিয়ে না দেখে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জেলাশাসক। তৃণমূলের তরফে বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
আগে ২০১৫ সালে একই অভিযোগ তুলেছিল সিপিএমও। এ দিন স্টেট গেস্ট হাউজে কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক অলোকেশ চক্রবর্তী সর্বদল বৈঠকে অভিযোগ তোলেন, ‘‘অবৈধভাবে এই তফসিলি শংসাপত্র জোগাড় করার দাবি আমাদের দলের একটি শাখা থেকেই করা হয়েছে। তা যদি সত্যি হয়, তবে বেশ কিছু মানুষকে প্রতারণা করেছেন রঞ্জন। তাই বিষয়টির যথাযথ তদন্ত চেয়েছি আমরা।’’ কংগ্রেসের দাবি, ওই শংসাপত্র পেতে কিছু নথি জালও করা হয়ে থাকতে পারে বলে তাঁদের সন্দেহ। কিছু দিন আগে দলের তফসিলি জাতি এবং জনজাতি শাখার তরফে দলের কাছে অভিযোগ আনা হয় এ ব্যাপারে। তার ভিত্তিতেই এদিন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে কবে রঞ্জন ওই শংসাপত্র পেয়েছেন, তা অভিযোগে উল্লেখ করেনি কংগ্রেস।
এর আগে সিপিএমের তরফেও একই অভিযোগ তোলা হয়। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘গতবারের পুরভোটের আগে আমরাও একই অভিযোগ তুলেছিলাম। কিন্তু প্রশাসন তাকে কোনও ভাবে গুরুত্বই দেয়নি। তদন্ত হওয়া দরকার।’’ জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া পি বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তবে সেগুলি খতিয়ে না দেখে বলা সম্ভব নয়।’’
এ দিন নিজের শংসাপত্র সম্পর্কে রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘আজকের দিনে এই প্রসঙ্গ একেবারেই অবান্তর। কারণ এর আগে সিপিএমও একই দাবি তুলেছিল। তা তদন্তে টেকেনি। এ সব নিয়ে এর বেশি কিছু বলব না।’’