—প্রতীকী চিত্র।
আলুর দাম কেজিতে ত্রিশ টাকার কম রাখতে হবে বলে জলপাইগুড়িতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দিল কৃষি বিপণন দফতর। সে সঙ্গে ন্যায্য দামে আলু বিক্রয় কেন্দ্র খোলা যায় কি না, তা নিয়েও ভাবনা-চিন্তা করতে বলা হয়েছে। সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে দফতর। আলুর পাইকারি এবং খুচরো ব্যবসায়ীদের ডেকে দাম নিয়ে সমন্বয় করতে বলেছে দফতর।
বেশ কিছু দিন ধরেই জলপাইগুড়ির খুচরো বাজারে চড়া দামে আলু বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ। জ্যোতি আলু প্রতি কেজি ত্রিশ টাকা, কোথাও তারও বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন কী করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন গ্রাহকেরা। গত রবিবার জলপাইগুড়ির বৃহত্তম খুচরো এবং পাইকারি বাজার দিনবাজারে গিয়ে দাম সম্পর্কে খোঁজখবর নেয় কৃষি বিপণন দফতর। তার পরেই এ দিন ডেকে পাঠানো হয়েছিল ব্যবসায়ী সংগঠনগুলিকে। সূত্রের খবর, কৃষি বিপণন দফতরের অধিকর্তা সুব্রত দে বৈঠক করে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে, নিয়মিত বাজারে পরিদর্শন হবে, কবে কত দরে আলু বিক্রি হচ্ছে তার খোঁজ রাখবে দফতর।
আলুর খুচরো ব্যবসায়ীদের দাবি, পাইকারি বাজার থেকেই চড়া দামে আলু কিনতে হচ্ছে। পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, এ বছর কৃষকেরাও ভাল দাম পেয়েছেন। প্রথম থেকেই আলুর দাম ছিল বেশি। জলপাইগুড়ি আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রাজু চক্রবর্তী বলেন, “আলুর চাহিদা বাড়ছে। আলু প্রথম থেকেই এ বছর বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। আলুর দাম আরও বাড়তে পারে। প্রশাসনকে বলা হয়েছে, কোন পর্যায়ে আলুর কত দম তা যাচাই করতে। আমাদের পক্ষে ন্যায্য দামে আলু বিক্রি সম্ভব নয়, তাতে ক্ষতি হবে। প্রশাসন নিজে এ নিয়ে উদ্যোগী হোক।”
কৃষি বিপণন দফতর জানিয়েছে, সরকারি ‘সুফল বাংলা’ বিক্রয় কেন্দ্রে আলুর দাম ত্রিশ টাকার কম রাখা হয়েছে। অন্য আনাজের দামও সরকারি বিক্রয় কেন্দ্রে কম রয়েছে বলে দাবি দফতরের।