নিজস্ব চিত্র
কোচবিহারের ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ জন পঞ্চায়েত সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার করেও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রেণুকা খাতুন বিবির বিরুদ্ধে অনাস্থা ঠেকাতে পারল না তৃণমূল। ২২ সদস্যের ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই ১২ জন সদস্য বৃহস্পতিবার তলবি সভায় উপস্থিত হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাবে অনাস্থা প্রস্তাব এনে রেণুকাকে প্রধানের পদ থেকে অপসারণ করেন।
গত দু’মাস আগে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন ওই ১২ জন সদস্য। কিন্তু জোড়াফুল শিবিরের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, তৃণমূল পরিচালিত কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা যাবে না। ইতিমধ্যেই যে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে, তা প্রত্যাহারের জন্য কড়া বার্তা দেয় কোচবিহার জেলা তৃণমূল। কিন্তু দলের এই নির্দেশ অমান্য করে অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহার না করে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন ওই ১২ জন পঞ্চায়েত সদস্য। তাই তাঁদের দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়। কিন্তু তাতেও ঠেকানো গেল না অনাস্থা।
এই প্রসঙ্গে দিনহাটা ১ নম্বরের ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক মদনমোহন মুর্মু বলেন, ‘‘সরকারি নিয়ম মেনেই প্রধানকে অপসারিত করা হয়েছে।’’ কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ‘‘অনাস্থা ঠেকানোর জন্য আমরা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সফল হইনি। আগামী দিনে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেই বিষয়ে আমাদের নজর থাকবে। দলের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনও আপস নয়।’’