Sevoke Road

Coronation Bridge: সেবক সেতু: প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করতে টেন্ডার প্রকাশ

গত ২০১১ সালে ভূমিকম্পে সেবকের করোনেশন সেতুর ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার পর থেকেই এলাকায় একটি নতুন সেতু তৈরির দাবি উঠতে শুরু করে।

Advertisement

শান্তশ্রী মজুমদার

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২২ ০৫:৫৩
Share:

সেবক সেতু। ফাইল চিত্র।

দীর্ঘ টালবাহানার অভিযোগ এবং তা নিয়ে বিতর্কের পরে সেবকে প্রস্তাবিত দ্বিতীয় সেতুর বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরির টেন্ডার প্রকাশ হল। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্য পূর্ত দফতর গত মঙ্গলবার ওই টেন্ডার এবং প্রস্তাবিত মানচিত্র প্রকাশ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ওই প্রকল্পে কত টাকা সেতু তৈরির জন্য প্রয়োজন হবে, কত দিনে সেতুর কাজ শেষ হবে— এ সব নিয়ে পরামর্শদাতা সংস্থা রিপোর্ট তৈরি করে জমা দেবে। তার পর সেতুর কাজ শুরু হতে পারে। যদিও কিছু দিন আগেই বিজেপির তরফে প্রচার করা হয়েছিল, সেতুর বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

ডিপিআর তৈরিই শুধু নয়, প্রকল্প রূপায়ণ এবং তার পরেও নজরদারির জন্য আগামী ১৪ বছরের কিছু বেশি সময়ের জন্য সংস্থাকে নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও রাজ্য পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, সেতু তৈরিতে এতটা সময় না-ও লাগতে পারে। সংস্থাকে সেতু তৈরি হয়ে যাওয়ার পরেও পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করে যেতে হবে কিছু দিন।

গত ২০১১ সালে ভূমিকম্পে সেবকের করোনেশন সেতুর ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার পর থেকেই এলাকায় একটি নতুন সেতু তৈরির দাবি উঠতে শুরু করে। সেই লক্ষ্যে তৈরি নাগরিক সংগঠন, সেবক ফোরাম দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছে। সংগঠনের কর্ণধার চন্দন রায় বলেন, ‘‘আমরা এর আগে অনেক বিভ্রান্তির শিকার হয়েছি। এত দিনে ডিপিআর তৈরির টেন্ডার বের হল। সংস্থা নিয়োগ করে যেন দ্রুত সেতুর কাজ শেষ করা হয়।’’

Advertisement

কেন্দ্রীয় সরকার সেতুর জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বলে প্রচার হয় কিছু দিন আগেই। কিন্তু ডিপিআর তৈরি শেষ না হলে কত টাকা লাগবে, তা পরিষ্কার হবে না বলেই মনে করছেন বাস্তুকাররা। পূর্ত দফতরের প্রকাশিত মানচিত্রে দেখানো হয়েছে, ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে (নতুন এনএইচ ১০) সেবক বাজারে পেট্রল পাম্পের পাশ থেকে তিস্তার উপর ২ লেনের সেতু তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। সেতুর দৈঘ্য প্রায় ১২০০ মিটার ধরা হয়েছে। তার সঙ্গে এলেনবাড়ির দিকে আরও প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তাও তৈরি হবে সেতুর প্রকল্পের সঙ্গেই। তা এলেনবাড়ি বাস স্টপ পর্যন্ত যাওয়ার কথা। আগামী ২৮ মের মধ্যে উৎসাহী সংস্থা বা সংস্থাগুলিকে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে হবে বলে নোটিশে জানিয়েছে পূর্ত দফতর। রাজ্য পূর্ত দফতরের এক বাস্তুকার বলেন, ‘‘টেন্ডারে কত জন বা কতগুলি সংস্থা অংশ নিচ্ছে, তা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’ বলা হয়েছে, সেবক বাজার থেকে রেল সেতুর ডান দিকে নতুন সেতুটি তৈরি করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement