আবছায়ায়: সকালে ঘন কুয়াশায় ঢাকা শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন। রবিবার। ছবি: বিনোদ দাস
ঝঞ্ঝার দাপট কাটার পরেই উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে শুরু করল। মূলত পরিষ্কার আকাশ হওয়ার জন্য রাতের তাপমাত্রা এমনিতেই কম থাকছে। তার উপরে উত্তর-পশ্চিম ভারতে শৈত্য প্রবাহের পরোক্ষ প্রভাবে এ দিনও কয়েকটি জেলা ‘শীতল দিন পেয়েছে’ তাপমাত্রার নিরিখে। তবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো দার্জিলিংয়ে বরফ পড়ল না। আবহাওআ দফতরের ইঙ্গিত, এ বছর সেই সম্ভাবনা ক্রমাগত ক্ষীণ হচ্ছে।
গত কয়েক দিন থেকেই শীতের দাপট অব্যাহত। উত্তর-পশ্চিম ভারতে শৈত্য প্রবাহ চলছে। তার জেরে সারাদিনই প্রায় ঝিরঝিরে হাওয়া বইছে উত্তরবঙ্গের অন্তত ছয় জেলায়। এর প্রভাবে জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং জেলার সমতলের কিছু অংশ এবং গৌড়বঙ্গের বাকি দুই জেলা মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে গত দু’দিনে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ‘শীতল দিন’ অনুভূত হয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত অধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘শৈত্য প্রবাহের পরোক্ষ প্রভাবে উত্তরবঙ্গের সমতলের কয়েকটি জেলায় শীত কয়েকদিন থাকবে। তবে পাহাড়ে, বিশেষ করে দার্জিলিংয়ে বরফ পড়ার সম্ভাবনা এ বার ক্রমাগত ক্ষীণ হচ্ছে।’’
গত কয়েক বছর থেকেই দার্জিলিং পাহাড়ে বরফ পড়ছে। গত ২০২১ ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে ২০২২ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত যেখানে সান্দাকফু, টাইগার হিল তো বটেই দার্জিলিং শহর, তার আশেপাশে, সুখিয়াপোখরির মতো এলাকাতেও অন্তত ৬ বার তুষারপাত হয়েছে। কিন্তু এ বার শূন্য ডিগ্রির সেই অক্ষরেখা দার্জিলিং শহর থেকে বেশ উপরে অবস্থান করছে বলেই জানান আধিকারিকরা। তাতে শহরে বরফ পড়ার সম্ভাবনা ক্রমাগত কমছে বলেই ইঙ্গিত আবহাওআ দফতরের আধিকারিকদের। তাঁদের দাবি, এই মরশুমে পর পর ঝ্ঞ্ঝার ঢেউ পাহাড়ে এসেছে। আরও এরকম একটি ঢেউ আসতে পারে আগামী ১২ ডিসেম্বরের পর। সেই সময় হালকা–মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই দিয়ে রেখেছে আবহাওআ দফতর। সেই সময় দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের ক্ষীণ সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। গত কয়েকদিন থেকে দার্জিলিং এবং সিকিমের উঁচু পাহাড়েও তুষারপাত হচ্ছে না বলেই জানান তাঁরা।