River Teesta

তিস্তা পূরণ করে দিচ্ছে বরোলির খিদে

মেখলিগঞ্জ শহরের পশ্চিম দিক দিয়ে বয়ে চলা তিস্তা নদীতে মাছ ধরার জন্য রাত হতেই দলে দলে ভিড় জমাচ্ছেন মৎস্যজীবিরা। মাছ ধরেই সংসার চালায় মেখলিগঞ্জ পুর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দাস পাড়া ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ দাসপাড়ার বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ। এ বারে তাঁদের জাল পূর্ণ হচ্ছে।

Advertisement

সজল দে

মেখলিগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২০ ০৭:৩০
Share:

মৎস্য নিজস্ব চিত্র

নদীতে মাছ না পেয়ে অনেকেই শ্রমিকের কাজ নিয়ে চলে গিয়েছিলেন ভিন্ রাজ্যে। এ বারে কিন্তু লকডাউনের মধ্যে প্রকৃতি উদার হাতে সেই মাছ ফিরিয়ে দিয়েছে। যাঁরা বাড়ি ফিরে অখণ্ড অবসর ভুলতে জাল সেলাই করে নদীতে ফেলেছেন, মাছ পেয়েছেন। তিস্তাও তার ব্যতিক্রম নয়।

Advertisement

মেখলিগঞ্জ শহরের পশ্চিম দিক দিয়ে বয়ে চলা তিস্তা নদীতে মাছ ধরার জন্য রাত হতেই দলে দলে ভিড় জমাচ্ছেন মৎস্যজীবিরা। মাছ ধরেই সংসার চালায় মেখলিগঞ্জ পুর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দাস পাড়া ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ দাসপাড়ার বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ। এ বারে তাঁদের জাল পূর্ণ হচ্ছে। সব মাছই মিলছে যথেষ্ট। তবে সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে বরোলি।

দক্ষিণ দাসপাড়ার নকুল দাস, সুষেণ দাসেরা এ বছর নিয়মিত রাতে নৌকা নিয়ে বার হচ্ছেন। তাঁদের কথায়, ‘‘গত কয়েক বছর বরোলির আকাল ছিল। এ বছর নদী ভরিয়ে দিয়েছে। যে ভাবে মাছ আসছে, তাতে মন ভরে যাচ্ছে।’’ তাঁরা জানাচ্ছেন, বরোলি মাছ ধরার জন্য রাত জাগতে হলেও এমন অনেক দিন যায় যে, মাছ বিক্রি করে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা আয় হয়। প্রবীণ মৎস্যজীবী সুষেণ দাস জানান, বরোলি মাছ দিনের বেলার তুলনায় রাতে বেশি দেখা যায়। সে কারণে এই মাছ শিকারের জন্য তাঁরা রাতেই বের হন।

Advertisement

সুষেণের কথায়, দু’জন করে ছোট দলে ভাগ হয়ে জাল নিয়ে নৌকায় করে সন্ধ্যার পর তাঁরা বের হন। রাত বাড়তে নদীতে জাল বিছানো শুরু করেন। হাঁটু বা কোমর জলে এক জন জাল বিছিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে জাল গোটানো শুরু করেন। এভাবেই ঝাঁকে ঝাঁকে বোরলি জালে আটকায়। ভোর রাত পর্যন্ত মাছ ধরার পর সকাল হতেই চলে আসেন বাজারে। ওখানেই নিলাম হয় মাছের। এই মাছ মেখলিগঞ্জ বাজার ছাড়াও কুচলিবাড়ি, চ্যাংরাবান্ধা, জামালদহ ও শিলিগুড়ির বিভিন্ন বাজারে চলে যায়। মেখলিগঞ্জ বাজারের মাছ বিক্রেতা দুলাল দাস জানান, বরোলির চাহিদা প্রচুর। চারশো থেকে ছয়শো টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement