প্রশান্ত কিশোর।—ফাইল চিত্র
বিধানসভা ভোটের ঢের দেরি। কিন্তু এখনই উত্তর দিনজপুর জেলার ৯টি আসনে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে— দলের অন্দরমহলের খবর এমনই।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সপ্তাহ ধরে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের দলের (টিম পিকে) সদস্যরা জেলার ন’টি বিধানসভা এলাকায় সমীক্ষা চালাচ্ছেন। সমীক্ষা রিপোর্টের পর্যালোচনা করে ওই সব কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হবে। দলের অন্দরমহলের খবর, এমন কাণ্ডে জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রের বিধায়কদের একাংশের মনে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। ‘পিকে’র রিপোর্ট কী বলবে, তা নিয়ে সে সব বিধায়কের অনুগামীদের মধ্যে চর্চা শুরু হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, বিধানসভা ভোটে টিকিট পেতে জেলার দলীয় বিধায়কদের একাংশ কলকাতায় গিয়ে রাজ্য নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। বিরোধী শিবিরের দখলে থাকা জেলার বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার জন্যেও তৃণমূলের জেলাস্তরের একাধিক নেতানেত্রী কলকাতায় ‘দরবার’ করছেন। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সহকারি মেন্টর অসীম ঘোষের বক্তব্য, ‘‘তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে টিম পিকের সদস্যরা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও সাধারণ মানুষের গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে তৃণমূল নেতাদের চিহ্নিত করতে সমীক্ষা শুরু করেছেন।’’
জেলার ন’টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ইটাহার, কালিয়াগঞ্জ, করণদিঘি, গোয়ালপোখর, ইসলামপুর ও চোপড়া তৃণমূলের দখলে রয়েছে। রায়গঞ্জ কংগ্রেস, হেমতাবাদ বিজেপি ও চাকুলিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে ফরওয়ার্ড ব্লকের দখলে রয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ‘টিম পিকে’র সদস্যরা মূলত বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের কোন কোন নেতার স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও জনসংযোগ রয়েছে, কোন নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, তোলাবাজি ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ নেই তা নথিভুক্ত করছেন। পাশাপাশি, দলীয় বিধায়কদের জনসংযোগ, ভাবমূর্তি, জীবনযাত্রা ও তাঁদের অনুগামীদের বিষয়েও নানা তথ্য জোগাড়ের কাজ শুরু করেছেন। রায়গঞ্জ ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি আলতাব হোসেনের বক্তব্য, ‘‘টিম পিকের সদস্যরা রায়গঞ্জে এসে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য নিয়ে গিয়েছেন। দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তা বাইরে বলা সম্ভব নয়।’’