রায়গঞ্জে শোকজ় নোটিসের জবাব দিতে এসে এসআই অফিসের সামনে ‘বিক্ষোভ’ প্রাথমিক শিক্ষকদের। —নিজস্ব চিত্র।
কেন ১০ মার্চ স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন, তার জবাব দিতে এসে আবির খেললেন প্রাথমিক শিক্ষকেরা। শুধু তাই নয়, শোকজ়ের জবাব দিতে এসে এসআই অফিসের সামনে ঢাকের তালে তালে কোমর দোলালেন তাঁরা। শুক্রবার উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের ঘটনা। রায়গঞ্জের দক্ষিণ সার্কেল অফিস চত্বরে শিক্ষকদের ‘অকাল দোল’ দেখতে থমকে গেলেন পথচারীরাও।
বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ-র দাবিতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। গত ১০ মার্চ ধর্মঘটও পালন করেন তাঁরা। তবে ধর্মঘটে যোগ দিলে বেতন কাটা যাওয়ার পাশাপাশি শোকজ় করা হবে বলেও কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তবে শুক্রবার শোকজ় হওয়া আন্দোলনকারীদের দেখা গেল উৎসবের মেজাজে। দুপুরে রায়গঞ্জের দক্ষিণ সার্কেলে জমায়েত হন বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিক। শোক়জ়ের জবাব দিতে এসে একে অন্যের কপালে ও গালে আবির দিয়ে নাচানাচি করলেন তাঁরা। কোনও কোনও শিক্ষক আবার নিজের কাঁধে ঢাক নিয়ে বাজালেন। শোক়জ়ের জবাব দিতে এসে তাঁদের এই ‘নাটকীয় প্রতিবাদ’ নিয়ে শিক্ষকরা বলেন, ‘‘আমাদের জন্য রাজ্য শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে আছে বলে কেন্দ্র দাবি করছে। কিন্তু সেই শিক্ষকদেরই এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বঞ্চিত করছেন!’’ ওই শিক্ষকরা এ-ও বলেন, ‘‘বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এক দিনের কর্মদিবস বা বেতন যদি কাটাও যায়, তাও তাঁরা মেনে নেবেন। কিন্তু ডিএ-এর দাবি থেকে তাঁরা সরছেন না বলে জানান তাঁরা।
যদিও এই বিক্ষোভ নিয়ে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শ সাবির আহমেদ জানাচ্ছেন রাজ্যের নির্দেশ পালন করা হচ্ছে। অফিসের সামনে ঢাক বাজলেও তাঁর কানে যায়নি বলে জানান ওই আধিকারিক।