তদন্তে নেমে ইডি শান্তনুর একাধিক সম্পত্তির হদিস পায় ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতিতে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা কী, বোঝাতে গিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বলেছিল, ‘‘উনি চিটিংবাজিতে বড় দাদা!’’ সেই শান্তনু শুক্রবার জেলে যাওয়ার পথে বলে গেলেন, ‘‘আমি নির্দোষ কি না যথা সময়ে জানতে পারবেন।’’
নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত হুগলির সদ্য বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনুকে শুক্রবার ১২ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছে আদালত। আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, কুন্তল ঘোষদের সঙ্গে জেলেই থাকবেন শান্তনু। শুক্রবার আদালতের এই নির্দেশের পরে শান্তনুকে জেলে নিয়ে যাওয়ার গাড়িতে তোলার সময়েই উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশে কয়েকটি কথা বলে যান শান্তনু। হুগলির প্রভাবশালী প্রাক্তন তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘আমি যদি সত্যিই দোষী হই তবে শাস্তি পাব। আর যদি নির্দোষ হই তবে সেটাও আপনারা ঠিক সময়ে জানতে পারবেন।’’
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলের বক্তব্য থেকেই প্রথমে কুন্তল পরে শান্তনুর নাম উঠে আসে। হুগলির এই দুই প্রাক্তন তৃণমূল নেতার নিয়োগ দুর্নীতি চক্রের অন্যতম মাথা বলে উল্লেখ করেছিলেন তাপস। পরে তদন্তে নেমে ইডি শান্তনুর একাধিক সম্পত্তির হদিস পায় বলে সূত্রের খবর। ইডির একটি সূত্রেই জানা গিয়েছিল, নামে-বেনামে শান্তনু এবং তাঁর স্ত্রীর একাধিক সম্পত্তি র হদিস মিলেছে। ইডি সূত্রে এমনও জানা গিয়েছিল, একাধিক বাড়ি, রেস্তরাঁ, বিলাসবহুল বাগানবাড়ির মালিক এই শান্তনু। রয়েছে হোমস্টে।
অথচ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, সরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার এক কর্মীর ছেলে শান্তনু বেড়ে উঠেছেন সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে। পরে তিনি ওই সরকারি বিদ্যুৎ সংস্থাতেই সহকারী ইঞ্জিনিয়ারের কাজে যোগ দেন শান্তনু। কিন্তু তৃণমূলের নেতা হওয়ার পর থেকে হঠাৎই প্রতিপত্তি বাড়তে শুরু করে তাঁর। শান্তনুর সহকর্মীরা জানিয়েছেন, একটা সময়ে আর নিয়মিত অফিসেও আসতেন না শান্তনু। সপ্তাহে এক বার দামি গাড়ি চড়ে হাজির হতেন। তখন তাঁর সঙ্গে থাকেন বেশ কিছু বডি গার্ড এবং সঙ্গী-সাথী।