টোটোপাড়া ধনপতি মেমোরিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মিশা ঘোষাল। নিজস্ব চিত্র
স্কুলটি আলিপুরদুয়ার জেলার প্রত্যন্ত এলাকায়। স্কুল পড়ুয়ারা মূলত আসে স্থানীয় টোটোপাড়ার বাসিন্দা অর্থাৎ টোটো জনজাতিদের মধ্যে থেকে। সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মিশা ঘোষাল এ বারে জাতীয় শিক্ষকের পুরস্কার পাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে মাত্র দু’জন শিক্ষককে নির্বাচন করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। তার মধ্যে রয়েছেন মিশা। টোটোপাড়া ধনপতি মেমোরিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মিশার কাছে শুক্রবার রাতে মন্ত্রক থেকে খবর আসে। তিনি পরে বলেন, “৫ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির হাত থেকে ওই পুরস্কার নেওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছি।” এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই নিশাদেবীকে অভিনন্দন জানানোর ঢল নেমেছে।
১৯৯৭ সালে কোচবিহারের বাসন্তীহাট কুমুদিনী হাইস্কুলে অঙ্কের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মিশাদেবী। বাসন্তীহাটে তাঁর আদি বাড়ি। পরবর্তী সময়ে মালদহের সুজাপুর গালর্স হাইস্কুলে তিনি শিক্ষকতা করেছেন। ২০০৮ সালে প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব নিয়ে টোটোপাড়া ধনপতি মেমোরিয়াল স্কুলে যোগ দেন। স্কুলের কয়েক জন শিক্ষক জানিয়েছেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শিক্ষার উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন তিনি।
মিশাদেবী বলেন, ‘‘কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শেষ পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষকের শিরোপা পেয়ে আমি গর্বিত। আমি মাধ্যমিক পাশ করেছি আলিপুরদুয়ার গার্লস হাইস্কুল থেকে। আজ এই জেলায় শিক্ষকতা করে পুরস্কার পেলাম। এটা আমার বড় পাওনা। এটা আমার স্কুলের সমস্ত শিক্ষক এবং আমার পড়ুয়াদের সবার সাফল্য।’’ মিশাদেবী ওই প্রত্যন্ত স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি টোটো জনজাতিদের নিয়ে গবেষণা করেছেন। টোটোদের লোক সংগীত, তাঁদের আর্থ-সামাজিক বিকাশের জন্যও তিনি কাজ করছেন। আলিপুরদুয়ারের শিক্ষকমহল বলছে, এই জেলা তো বটেই, রাজ্যের শিক্ষা মানচিত্রেও টোটোপাড়ার এই স্কুল জায়গা করে নিল।