ধূপগুড়ির ধর্ষিতা নবম শ্রেণির ছাত্রীর পাশে দাঁড়ানোয় শিক্ষকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সিপিএমের একাংশের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ তুলে শনিবার ধূপগুড়ি থানায় স্মারকলিপি দিল তৃণমূল।
ধূপগুড়ি থানার আইসি যুগলচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “ঘটনার তদন্তের প্রয়োজনে শিক্ষকদের সহযোগিতা করতে হবে। কী হয়েছে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ দিকে শিক্ষকদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন সিপিএম নেতৃত্ব। দলের ধূপগুড়ি জোনাল কমিটির সম্পাদক তুষার বসু বলেন, “আমরা শিক্ষকদের হুমকি দিতে যাব কেন! ঘটনাটি নিন্দনীয় এবং পুরোপুরি অরাজনৈতিক। ওই কারণে এ বিষয়ে আমরা কোনও বক্তব্য রাখছি না।” গত ১০ এপ্রিল ধূপগুড়ির বাসিন্দা ওই ছাত্রী স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সহযোগিতায় তাঁর বাবা, জ্যেঠু এবং দাদার বিরুদ্ধে ধূপগুড়ি থানায় ধর্ষণের অভিযোগ জানায়। পুলিশ ওই দিন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ‘প্রিভেনশন অব চাইল্ড সেক্সুয়াল অফেন্সের’ (পকসো) ধারায় মামলা রুজু করে পরের দিন জলপাইগুড়ি জেলা দায়রা আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক তাঁদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে মামলাটি বিশেষ আদালতে স্থানান্তরিত করেন। সোমবার বিশেষ আদালতে তোলা হলে পুলিশ ধৃতদের পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদের পরে শনিবার অভিযুক্তদের ফের বিশেষ আদালতে তোলা হয়। এ দিন বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, ধৃত ছাত্রীর জ্যেঠু সিপিএম সমর্থক। ওই কারণে এলাকার সিপিএম নেতৃত্ব ঘটনাকে চাপা দিতে ছাত্রীর পাশে দাঁড়ানো শিক্ষকদের হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু কী হুমকি দেওয়া হচ্ছে সেই বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি। তৃণমূলের ধূপগুড়ি ব্লকের গ্রামীণ এলাকার সভাপতি কমল সরকার বলেন, “শিক্ষকরা যাতে মুখ না খোলেন, সে জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে।”
হুমকি দেওয়া হলে শিক্ষকেরা কোনও অভিযোগ জানালেন না, তৃণমূল থেকে থানায় স্মারকলিপি দেওয়া হল কেন? তৃণমূল নেতা গুড্ডু সিংহের দাবি, “শিক্ষকরা ভয়ে আছেন। তাই আমরা পাশে দাঁড়িয়েছি।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক পঙ্কজ অধিকারী হুমকির অভিযোগের কথা জানেন না বলে দাবি করেছেন।