নিজস্ব চিত্র
রাতারাতি ভাগ্যবদল! চা ও লটারির দোকানের মালিক কমল মহলদার জানতেন না, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাল্টে যাবে তাঁর ভাগ্য। ৩৫ বছরের কমলের একটি চায়ের দোকান আছে। সেই দোকানেই তিনি লটারির টিকিট বিক্রি করেন। দোকানের অবিক্রিত টিকিটেই ভাগ্য খুলে গেল তাঁর। পেয়ে গেলেন ১ কোটি টাকা!
সোমবার বিকেলে ১২০ টাকার টিকিট অবিক্রিত থেকে যায় কমলের। সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে তিনি জানতে পারেন, তাঁর একটি অবিক্রিত টিকিটে এক কোটি টাকা জিতেছেন তিনি। এর পর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লটারির টিকিট নিয়ে হাজির হন কমল। আর কমলকে দেখার জন্য থানায় উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। কমলের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কুশিদা হাটখোলা এলাকায়। বাড়িতে স্ত্রী, দুই সন্তান ও বয়স্ক বাবা-মা আছেন। মা নির্মলা মহলদার কুশিদা বাজারে সব্জি বিক্রেতা। লটারির টাকা পেয়ে দুই সন্তানের জন্য ভাল চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
কমল বলেন, ‘‘আমি মাঝে মাঝে টিকিট কাটতাম। এত টাকা পাব কোনও দিন ভাবিনি। আপাতত টাকা পেয়ে আমি ঋণ শোধ করব, সন্তানদের নামে রাখব কিছু টাকা। আর বাড়ির একেবারেই ভগ্নদশা, সেটা ঠিক করব দ্রুত।’’ কমলের মা বলছেন, ‘‘আগে ঝালমুড়ি বিক্রি করত আমার ছেলে। তার পর চায়ের দোকান দেয়। মাঝে মাঝে লটারির টিকিট কাটত, টিকিট বিক্রিও করত বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে। আজ ওর ভাগ্য ফিরেছে। কোনও নিরাপত্তার অভাব যাতে না হয়, তাই থানায় এসেছি।’’
এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস জানিয়েছেন, ‘‘সোমবার সন্ধ্যায় লটারির টিকিট নিয়ে থানায় আসেন কমল মহলদার নামে কুশিদার এক বাসিন্দা। তাঁকে সব রকম ভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানিয়েছি আমরা।’’