বিতর্কিত: সেই অনুষ্ঠানে নাচছেন বাচ্চু হাঁসদা। নিজস্ব চিত্র
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আগে রবিবার থেকে মাইক ও সাউন্ডবক্স বাজানো বন্ধের সরকারি নির্দেশিকা জারি হয়েছে। অভিযোগ, সরকারি ওই নির্দেশ উপেক্ষা করে দোলে সাউন্ডবক্সে সজোরে বাজানো গানের তালে নাচলেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। সেই নাচের ভিডিয়ো সোস্যাল মিডিয়ায় ‘ভাইরাল’ হতেই বিতর্ক ছড়িয়েছে। সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন বিডিও অফিস চত্বরের ঘটনা।
এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে বসন্ত উৎসব পালনে তৈরি মণ্ডপে একাধিক সাউন্ডবক্স ছিল। সে সবেই সজোরে বাজানো গানের তালে তপন এলাকার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদাও নাচেন। সানগ্লাস পরে পর পর গানে মন্ত্রীর নাচ মুহূর্তে সোস্যাল মিডিয়ায় ‘ভাইরাল’ হয়ে পড়ে। সে কথা জেনে তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘খুব অন্যায় কাজ হয়েছে এটা। শুধু মন্ত্রী হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবে এ কাজ করা উচিত নয়। দল থেকে এটা সমর্থন করা যায় না। সামনেই পরীক্ষা। এখন এ সব করার সময় নয়। এ বিষয়ে প্রশাসন ও মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।’’
রবিবার ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচিতে ‘‘আদিবাসী এলাকায় রাস্তা তৈরি করে ভোট পাওয়া যায় না’’ বলে সংবাদমাধ্যমের সামনে মন্তব্য করে দলে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন বাচ্চু। তার পরে ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মুখে সজোরে গান বাজিয়ে তাঁর নাচ নিয়ে সরব বিরোধীরাও। বিজেপি নেতা নীলাঞ্জন রায় বলেন, ‘‘সরকারে থেকেও সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘন করে নাচগান করে মন্ত্রী ছাড় পেয়ে যান। সাধারণ মানুষ ও বিরোধীদের তেমন ধরনের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয় না।’’
তপনের বিডিও ছোগেল মোক্তান তামাং বলেন, ‘‘উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এখনও শুরু হয়নি।’’ ব্লক প্রশাসনের তরফে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি বলেও তিনি দাবি করেন। ডেপুটি পুলিশ সুপার ধীমান মিত্র বলেন, ‘‘৯ মার্চ থেকে মাইক ও সাউন্ডবক্স বাজানোর উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ৮ মার্চ থেকে ওই সে কথা সব জায়গায় প্রচারও করা হয়েছে। তপনে কী হয়েছে জানা নেই।’’
আর এ নিয়ে বাচ্চুর মন্তব্য, ‘‘অবশ্যই সামনে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা রয়েছে। তবে বসন্ত উৎসব বছরে এক বার আসে। জনগণের সঙ্গে একসঙ্গে দোল উৎসবে কিছুটা আনন্দ করেছি।’’