গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
আজ, মঙ্গলবার থেকে স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সে পরীক্ষা দিতে না পেরে আক্ষেপ করলেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই পদার্থবিদ্যার প্রাক্তনী অলোক মণ্ডলের হাতে ছুরিকাহত গণিতের ছাত্রী তনুশ্রী চক্রবতী। সোমবারও মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি তিনি। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল হলেও, সঙ্কটজনক অবস্থা অলোকের। মেডিক্যাল কলেজের সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ বর বলেন, ‘‘মেয়েটির মতো ছেলেটিও চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে। তবে ছেলেটির বিপদ কেটেছে, এখনই বলা যাবে না। দু’জনকেই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’’
কর্তৃপক্ষের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের ২৩টি বিভাগেই দ্বিতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। গত শনিবার বিভাগগুলিতে ইন্টারনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে। অভিযোগ, সে পরীক্ষা দিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবনের নীচতলায় প্রাক্তনী অলোকের ছুরিতে জখম হন তনুশ্রী। সে ছুরি দিয়ে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অলোক। তার পর থেকেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি তনুশ্রী এবং অলোক।
তনুশ্রীর মা তৃপ্তি চক্রবতী এই দিন বলেন, “মেয়ের জীবনে পড়াশোনা ছাড়া আর কিছু নেই। পরীক্ষা দিতে পারবে না জেনে এখন ওর চোখ দিয়ে শুধু জল ঝরছে। আমরা বোঝানোর চেষ্টা করছি।” দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক সনাতন দাস বলেন, “তনুশ্রী প্রথম সিমেস্টারে ভাল ফল করেন। পরীক্ষা দিতে না পেরে আমাদের কাছে আক্ষেপ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর পাশে আছে। তাঁকে পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা করতে নিষেধ করা হয়েছে।” এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস এ দিন বলেন, “তনুশ্রীর পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় বিবেচনা করছে। আমরা মেয়েটি এবং ছেলেটির সুস্থতার কামনা করছি।”