বৃহস্পতিবার মারা যান অশ্রুকুমার সিকদার।
এমন একটি দিন, যে দিন শিলিগুড়ি শহরের বাবুপাড়ার বহু পুরানো আর্য সমিতির সামনের রাস্তার ছোট দোতলা ছিমছাম বাড়িটিতে গেলে আর পাওয়া যাবে না অশ্রুকুমার সিকদারকে। শিলিগুড়ির এই বাড়িটি উত্তরবঙ্গের একটি সাহিত্যতীর্থ বলে মনে করেন অনেকেই। নতুন কোনও লেখা কেউ লিখলে, অপেক্ষা করে থাকতেন, এই বাড়ির কর্তা সেই লেখাকে কী ভাবে বিশ্লেষণ করবেন। শুক্রবার তাই মন ভার সারা শহরের।
সারা দিন বাড়ির কাছাকাছি ছোট একটি ভিড়। সকলেই এসেছিলেন এক শিক্ষককে শ্রদ্ধা জানাতে। দীর্ঘ দিন অধ্যাপনা করেছেন। নিবিড় যোগ শহরের সঙ্গে। ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই প্রতিষ্ঠিত। তাঁরাও অনেকে এসেছিলেন। এসেছিলেন, তাঁর ছাত্রদের ছাত্ররাও।
ভিড়ের শুরু বৃহস্পতিবার বিকেলেই। তখনই ওই বাড়িতে যান মেয়র অশোক ভট্টাচার্য, বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার। পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব কলকাতায়। তিনি বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। পরে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পর্যটন মন্ত্রীর তরফে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। সন্ধ্যায় শ্মশানে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষও।
গৌতমবাবু বলেন, ‘‘আমাদের অভিভাবকের মতো ছিলেন তিনি। আমার দাদা তাঁর ছাত্র। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ছিলেন। তাঁর ইচ্ছা মতো আমরা সেটিকে নতুন করে গড়ে তুলেছিলাম। স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য সেই উদ্বোধনে আসতে না পারলেও শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন।’’
মেয়র অশোকবাবু বলেন, ‘‘পুরসভার ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে আমরা অশ্রুবাবুকে সম্মানিত করেছিলাম। তিনি তখন নার্সিংহোমে। তার কিছু ক্ষণ পরেই মারা যান। আমার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। বাড়িতে যেতাম। নানা বিষয়ে কথা হত। শহরের বড় ক্ষতি হল।’’