মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা শুভেন্দুর। নিজস্ব চিত্র
উত্তর দিনাজপুরের নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। তার পরেও মৃতার পরিবার ও বিজেপি ওই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড়। এই পরিস্থিতিতে বিজপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার-সহ দলের জেলা নেতৃত্বের সামনেই ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের ‘সিট’-এর উপরে আস্থা রাখার পরামর্শ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী।
ওই নাবালিকার বাড়িতে শুক্রবার দুপুরে গিয়ে পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন শুভেন্দু। সেখানে বিরোধী দলনেতা বলেন, “নিরপেক্ষ দুঁদে অফিসাররা সিট-এ রয়েছেন। আপনারা বিচার পাবেন। দোষীরাও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে।” তবে রাজ্য সরকার ‘সিট’-কে ওই মামলার তদন্তে কতটা সাহায্য করবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন শুভেন্দু। এ দিন ওই নাবালিকার পরিবার ও বাসিন্দাদের একাংশ শুভেন্দুর কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ জানান।
এ দিন দুপুরে শুভেন্দু প্রথমে কালিয়াগঞ্জের কুনোরে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে যান। সেখানে কালিয়াগঞ্জের মোস্তফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙিপাড়ার বাসিন্দা অসীম দেবশর্মার হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন। কিছু দিন আগে, অর্থাভাবে অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে অসীম তাঁর পাঁচ মাসের পুত্র সন্তানের দেহ ব্যাগে করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল থেকে কালিয়াগঞ্জে নিয়ে আসেন বলে দাবি করেছেন। ভবিষ্যতে গরিব রোগীদের স্বার্থে এ দিন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে অ্যাম্বুল্যান্স কেনার জন্য ১২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন বিরোধী দলনেতা। পরে, কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরে চাঁদগাঁওয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের বাড়ি যান। সেখানে নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করেন। সেখানে শুভেন্দু দাবি করেন, ‘‘মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী গৌরী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই তিনি কাজে যোগ দেবেন।’’
মৃত্যুঞ্জয়কে গুলি করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত কালিয়াগঞ্জ থানার এএসআই মোয়াজ্জেম হোসেন জেলে থাকার বদলে ‘ডিউটি’ করছেন বলে অভিযোগ তুলে এ দিন সুর চড়ান শুভেন্দু। তিনি কী ভাবে ডিউটি করতে পারেন, সে প্রশ্নও তোলেন। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার মহম্মদ সানা আখতার কোনও মন্তব্য করতে চাননি। কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ শুভেন্দুর নাম না করে বলেন, ‘‘রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া বিজেপি মৃতদেহ নিয়েও রাজনীতি করছে। মানুষ উপযুক্ত সময়ে যথাযথ জবাব দেবেন।’’