পাশাপাশি: ইসলামপুরে তৃণমূলের সভায় পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। মঙ্গলবার। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়, পুরবোর্ড চাই। মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের এমনই বার্তা দিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার ইসলামপুরের কোর্ট ময়দানে দলের জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, সব কিছু ঠিক থাকলে মে-জুন মাসে রায়গঞ্জ পুরভোট হবে। সেই ভোটে জিততে হবে বলে সভা মঞ্চে উপস্থিত জেলা নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন শুভেন্দুবাবু।
এ দিনের সভায় দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দুবাবু মঞ্চ থেকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন কানাইয়ালাল অগ্রবালের নেতৃত্বেই দল চলবে। তবে গোষ্ঠী রাজনীতি যে বরদাস্ত করা হবে না সেই বার্তা দিতেও বক্তৃতার মাঝে মাইকেই শুভেন্দুবাবুর নির্দেশ, ‘‘সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। পুরোনোদের সামনের সারিতে রাখতে হবে। সকলকে মর্যাদা দিন।"
পুরভোটের পরেই রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোট। সেই ভোটে ইসলামপুর মহকুমার সব গ্রাম পঞ্চায়েত দখলের জন্য কর্মীদের প্রস্তুতি শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন সভার আরেক বক্তা পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। জেলায় পুর-পঞ্চায়েত ভোটে দলের জয়ের পথে অন্যতম কাঁটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে অভিযোগ তৃণমূলেরই কর্মীদের। সাম্প্রতিক কালে রাজ্যে শাসক দলের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সংঘর্ষে একাধিকবার রক্ত ঝরেছে ইসলামপুরে, বোমা-গুলি চালানোর অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগও উঠেছে। এ দিন শুভেন্দুবাবু বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বারবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার প্রসঙ্গ এসেছে। তিনি বলেন, ‘‘মনে রাখবেন দলের থেকে কেউ বড় নয়।’’
সভার আগে ঘণ্টাখানেক সার্কিট হাউসে দুই মন্ত্রী ইসলামপুরের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেও আলোচনার বিষয় ছিল দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও। গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে ইসলামপুরে জেতার পরে কানাইয়ালাল অগ্রবালের তৃণমূলে যোগ দেন। কানাইয়ালাল দলে যোগ দেওয়ার পর প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরীর গোষ্ঠীর অনুগামীদের সঙ্গে গোলমাল শুর হয়। যার জেরে দলের ভাবমূর্তি এবং সংগঠন দুইয়েই আঘাত লেগেছে বলে দলের নেতারা মনে করেছে।। প্রাক্তন বিধায়ক তথা মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরী দল ছেড়েছেন। তার পরেও দন্দ্ব পুরোপুরি থামেনি বলে অভিযোগ।
উত্তর দিনাজপুরে পর্যবেক্ষক শুভেন্দুবাবুর এ দিন পুরভোটের প্রস্তুতি নিয়ে সভা করতে রায়গঞ্জে যাওয়ার কর্মসূচি স্থির ছিল। সম্প্রতি একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ইসলামপুরে সঙ্ঘের মিছিলের পরে শুভেন্দুবাবুর সভার তালিকায় এই শহরও ঢুকে পড়ে।