কমবয়সের বলিরেখা পড়েছে ত্বকে? বালিশে মুখ গুঁজে ঘুমোচ্ছেন বলেই কি এমন হচ্ছে?

গবেষণা জানাচ্ছে, যাঁরা বালিশে মুখ খুঁজে ঘুমোন, তাঁদের ত্বকে বেশি মাত্রায় বলিরেখা পড়ে। বালিশে মুখ গুঁজে ঘুমোনোর কারণে বয়সের ছাপও পড়ে যায়। বালিশ কী ভাবে বলিরেখার কারণ হতে পারে?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৩৮
Share:

বালিশ কি বলিরেখার কারণ? ছবি: সংগৃহীত।

বয়স সংখ্যা মাত্র। কিন্তু প্রকৃতির নিয়মে তা আপন গতিতে বে়ড়েই চলে। মনের বয়স না বাড়লেও, শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে। বলিরেখা আসে তাই বয়স বেড়ে যাওয়ার খবর নিয়ে। বলিরেখার যে কমবয়সে হতে পারে না, তেমনটি নয়। কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকেও নানা বদল আসে। বয়স বাড়ছে, তার ইঙ্গিত দেয় ত্বক। বলিরেখাও তেমনই বেশি বয়সের সঙ্গী। তবে বয়স বাড়ছে মানেই যে বলিরেখা হবে, এমনটি দস্তুর নয়। চাইলে বলিরেখাও রুখে দেওয়া যায়। অনেকেই জানেন না, বলিরেখার একটি কারণ হতে পারে বালিশ। গবেষণা জানাচ্ছে, যাঁরা বালিশে মুখ খুঁজে ঘুমোন, তাঁদের ত্বকে বেশি মাত্রায় বলিরেখা পড়ে। বালিশে মুখ গুঁজে ঘুমোনোর কারণে বয়সের ছাপও পড়ে যায়। বালিশ কী ভাবে বলিরেখার কারণ হতে পারে?

Advertisement

বালিশে মুখ গুঁজে শুলে, মুখের সে দিকে রক্তচাপ বাড়তে থাকে। সেই চাপেই মুখে বলিরেখা পড়তে পারে। ধরা যাক, কারও বাঁ দিকে কাত হয়ে ঘুমোনোর অভ্যাস। সেক্ষেত্রে বাঁ দিকেই বলিরেখা পড়ে। ঠিক একই ভাবে কেউ যদি ডান দিক করে ঘুমোন, মুখের ডান অংশেই বলিরেখা পড়ার ঝুঁকি থাকে। মোট কথা, যেদিকে কাত হয়েই ঘুমোন, মুখের সেই দিকে বয়সের ছাপ বেশি পড়তে থাকে, কমতে থাকে ঔজ্জ্বল্য। অন্য দিকের জেল্লা তুলনায় বেশি থাকে।

এ ছাড়া আরও একটি কারণ আছে। বালিশে মুখ গুঁজে ঘুমোলে কিংবা পাশ ফিরে শোয়ার সময়ে, মুখের যে অংশটি বালিশের সংস্পর্শে থাকে, সেই অংশ ধীরে ধীরে শুকিয়ে যেতে পারে। বালিশে থাকা ব্যাক্টেরিয়া মুখের ওই অংশে বাসা বাঁধতে থাকে। এ ভাবেও কমে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement