জেলা নেতাদের দ্বন্দ্বে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
মালদহ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদে কারা বসবেন, তা নিয়ে কলকাতার বৈঠকেও জট খুলল না। কর্মাধ্যক্ষের নামের তালিকা নিয়ে জেলা নেতাদের দ্বন্দ্বে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় সূত্রের খবর, শনিবার রাতে কলকাতায় মালদহের দলীয় জেলা কোর কমিটির আট নেতার সঙ্গে বৈঠকে তাঁদের কড়া বার্তা দিয়েছেন দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু।
ওই বৈঠকে কমিটির আট সদস্যেরই মতামত শুনেছেন পরিবহণমন্ত্রী। আগামিকাল, মঙ্গলবার কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন। শুভেন্দুর চূড়ান্ত নামের তালিকা সেইদিনই সকালে খামবন্দি অবস্থায় জেলা নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে যাবে। দলীয় সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের আগে কর্মাধ্যক্ষের তালিকা তৈরি নিয়ে নেতৃত্বের দ্বন্দ্বের খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার পাওয়ায় ক্ষুব্ধ শুভেন্দু। সে-কথা সভায় জানিয়ে সতর্কও করেন। লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে ফের এক হয়ে চলার বার্তাও দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, বৈঠকে শুভেন্দু কর্মাধ্যক্ষের তালিকা প্রসঙ্গে কোর কমিটির আটজনেরই নিজস্ব মতামত শোনেন। পর্যবেক্ষকের সামনে তাঁরা কার্যত নরম সুরেই মতামত জানান। সকলেই নামের তালিকা চূড়ান্ত করার ভার শুভেন্দুর উপরই সঁপে দেন। দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার রবিবার বলেন, ‘‘কারা কর্মাধ্যক্ষ হবেন তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন পর্যবেক্ষকই।’’ গত ২০ তারিখ মালদহ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনের দিন ছিল। কিন্তু আগেরদিন রাতে আচমকা নির্দেশিকা জারি করে মালদহ জেলা প্রশাসন সেই র্নির্বাচন স্থগিত করে দেয়। কিন্তু সেদিন প্রশাসন কেন আচমকা নির্বাচন স্থগিত করেছিল তা নিয়ে বিতর্ক ওঠে। প্রশাসনের যুক্তি ছিল, সেদিন প্রয়োজনীয় পুলিশ মোতায়েন করা যাবে না বলেই স্থগিত করা হয়েছিল। যদিও রাজনৈতিক মহল তো বটেই, এমনকী তৃণমূলের একাংশেরও দাবি, ন’টি কর্মাধ্যক্ষ পদে কাদের বসানো হবে সেই তালিকা তৈরি করা নিয়ে ১৮ তারিখ রাতে তৃণমূলের কোর কমিটির সভায় নেতৃত্বের দ্বন্দ্বের জেরেই সেই নির্বাচন সেদিন স্থগিত হয়। তৃণমূল সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে একাধিক জেলা নেতৃত্ব বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। কোনও ঐকমত্যে না পৌঁছতে পেরে ন’টি পদের জন্য ১৮ জনের নামের খসড়া একটি তালিকা শুভেন্দুর কাছে পাঠানো হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে শুভেন্দু কোর কমিটির আট নেতাকে কলকাতায় তলব করেন।