চিনা তৎপরতার পাল্টা পদক্ষেপ
Nathu La

Indian railways: রেলে নাথু লা-কে জুড়তে সমীক্ষা

 চুম্বি উপত্যকায় চিনের সেনা গতিবিধি এবং সামরিক পরিবহণ পরিকাঠামো বৃদ্ধির খবর সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের কর্তারাই জানিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২১ ০৮:৫২
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

এ বার সেবক-রংপো থেকে এক ধাপ এগিয়ে চিন সীমান্তে রেল যোগাযোগের রূপায়ণের ব্যাপারে আরও তৎপরতা বাড়াল ভারতীয় রেল। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার অংশুল গুপ্ত শনিবার সেবক স্টেশন পরিদর্শনে এসে জানান, শীঘ্রই রংপো-নাথু লা রুটে লাইন পাতার সমীক্ষার কাজ শুরু হবে। তিব্বতের চুম্বি উপত্যকায় সেনা গতিবিধি বাড়াতে শুরু করেছে প্রতিবেশী চিন। বাড়তে শুরু করেছে তাদের সামরিক পরিবহণ পরিকাঠামোও। সেই প্রেক্ষিতেই পাল্টা এই তৎপরতা কিনা, সে সম্পর্কে রেলের তরফে কিছু জানা যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের বক্তব্য, নাথু লা চিন সীমান্তেই। তাই রংপোর পরে
নাথু লা পর্যন্ত লাইন পাতার পরিকল্পনার লক্ষ্য যে কেবল যাত্রী পরিবহণ নয়, সেই ইঙ্গিত মোটামুটি ভাবে স্পষ্ট।

Advertisement

চুম্বি উপত্যকায় চিনের সেনা গতিবিধি এবং সামরিক পরিবহণ পরিকাঠামো বৃদ্ধির খবর সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের কর্তারাই জানিয়েছিলেন। সেনা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে দু’টি রাফালকে হাসিমারায় এনে রাখা হয়েছে। বাগরাকোট থেকে নাথু লা পর্যন্ত বিকল্প সড়ক পথও তৈরি শুরু করেছে দিল্লি। এগুলি সবই সেনা যাতায়াতের সহযোগী হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ২০১৯ সালেই সেবক-রংপো রেলপথের কাজ শুরু করেছে রেল। কিন্তু তা নানা কারণে ক্রমাগত পিছিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ। এ দিনই জিএম ইঙ্গিত দেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সেবক-রংপো প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। এখনও কেবলমাত্র সুড়ঙ্গই তৈরি হচ্ছে। এখনও লাইন পাতার কাজ বাকি। রংপো-নাথু লা রুট সড়কপথেই প্রায় ৯০ কিলোমিটারের বেশি। জিএম বলেন, ‘‘রংপো থেকে গ্যাংটক হয়ে নাথু লা পর্যন্ত কী ভাবে, কতদিনের মধ্যে রেললাইন পাতার কাজ করা যায়, সেই সমীক্ষাই এ বার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল হাতে নিচ্ছে। তা শেষ করে শীঘ্রই প্রস্তাব পাঠানোর চেষ্টা করা হবে।’’ সূত্রের দাবি, ডিসেম্বরের পরেই কাজ শুরু করা যায় কিনা সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রেলের তরফে। পাশাপাশি, সেবক স্টেশনটিকে আরও প্রশস্ত করে এক বছরের মধ্যে সেটিকে আরও কয়েকটি ট্রেন যাতায়াতের সুবিধাযুক্ত করা হবে বলেই রেল সূত্রের দাবি।

নিউ জলপাইগুড়ি থেকে অরুণাচলপ্রদেশের সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত থাকা ৫০০টি রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম সংস্কার করে লম্বা এবং চওড়া করা হচ্ছে বলে রেল সূত্রে দাবি। তার মধ্যে সেবকও রয়েছে বলেই এ দিন ইঙ্গিত দেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জিএম। এ দিন তিনি সেবক স্টেশন পরিদর্শন করেন। দার্জিলিঙে টয় ট্রেনের ঘুম উৎসবেরও উদ্বোধন করেন জিএম। তিনি জানান, ধসের জন্য বন্ধ এনজেপি-দার্জিলিং রুটটি দ্রুত চালু হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement