প্রতীকী ছবি।
কোন কোন মৃত রেশন কার্ড উপভোক্তার কার্ড তাঁদের পরিবার ফেরত দেয়নি, তা নিয়ে বালুরঘাট পুরসভায় শুরু হল নতুন একটি সমীক্ষা। কিছু দিন আগেই খাদ্য দফতর খোঁজ পেয়েছিল, একটি বড় অংশের বাসিন্দাদের আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ড লিঙ্ক হয়নি। তাঁদের মধ্যে অনেকে মারা গিয়েছেন বলেই সন্দেহ করে এই সমীক্ষা শুরু করা হয়েছে আশাকর্মী, এবং শিশুশিক্ষা স্কুলের শিক্ষিকাদের দিয়ে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তা থেকে আসা আরও কিছু মৃত উপভোক্তার নাম বাদ দেওয়া যাবে বলে আশাবাদী দফতরের কর্তারা।
অগস্ট মাস থেকে জেলায় মৃত উপভোক্তাদের রেশন কার্ড বাতিল করার বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছিল। কিন্তু ডিসেম্বরের শেষ প্রান্তে পৌঁছে লক্ষ্যমাত্রা থেকে দূরে রয়ে গিয়েছে সেই অভিযান। ৩৬ হাজারের মধ্যে মাত্র ১৮ হাজার উপভোক্তাকে মৃত বলে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁদের কার্ড বাতিলও হয়েছে। কিন্তু কিছু নাম এখনও রয়ে গিয়েছে তালিকায়। সেগুলি খুঁজে বের করতেই শনিবার থেকে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
জেলার খাদ্য নিয়ামক জয়ন্ত রায় বলেন, ‘‘আশা করছি, এই সমীক্ষায় বেশ কিছু তথ্য উঠে আসবে। আমরা লক্ষ্যমাত্রার অনেক কাছাকাছি পৌঁছে যাব।’’ রেশন কার্ড উপভোক্তার নাম তো রেশন ডিলার বা খাদ্য দফতরের পোর্টালেই রয়ে গিয়েছে। তা হলে কেন আলাদা করে সমীক্ষা? খাদ্য দফতরের কর্তাদের দাবি, নাম রয়েছে বটে কিন্তু সেখানে নানা গোলমাল রয়েছে। নামের বানান থেকে শুরু করে আধারের সঙ্গে রেশন কার্ডের নামের বানানে গরমিল রয়েছে।
পুরসভা থেকে মৃতদের তথ্য তালিকা নিয়ে একই নামে অনেক ব্যক্তির তথ্য উঠে আসছে। বাড়ছে বিভ্রান্তি। তাই দফতরের সার্ভার থেকে নাম মুছে ফেলার কাজ করা যাচ্ছে না বলেই দাবি করছেন খাদ্য দফতরের কর্তারা। এই সমীক্ষায় কাজ সহজ হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। আধার লিঙ্কের কাজও অনেক দিন হল শুরু হয়েছে। লিঙ্ক না করালে উপভোক্তাদের রেশন আর দেওয়া হবে না বলে ঠিক করেছে দফতর।