প্রতিবাদ: বামফ্রন্টের মিছিলে সূর্যকান্ত মিশ্র, শতরূপ ঘোষ ও কনীনিকা ঘোষ। মঙ্গলবার। ছবি: স্বরূপ সাহা।
একশো দিনের প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু সে ব্যাপারে রাজ্যের ভূমিকারই সমালোচনা করলেন সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। মঙ্গলবার মালদহে দাবি, ‘‘সব রাজ্যে ১০০ দিনের টাকা বন্ধ হয়নি। দুর্নীতির জন্য শুধু এ রাজ্যেই বন্ধ হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন: ‘‘এ রাজ্য যে সব সম্পদের তালিকা বলেছে, বাস্তবে সেগুলির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বহু জায়গায় পুকুর-চুরি হয়েছে। এ জন্য কেন্দ্রীয় দল বিভিন্ন জেলায় ঘুরছে।’’
মালদহের একাধিক পঞ্চায়েতে বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের তদন্তও চলছে অনেক ক্ষেত্রে। এ দিন দুপুরে, পঞ্চায়েতের ‘দুর্নীতি’র অভিযোগে ইংরেজবাজার শহরে পথে নামে বামেরা। দলীয় নেতা, কর্মীদের সঙ্গে পুরো শহর পরিক্রমা করেন সূর্যকান্ত মিশ্র, কনীনিকা ঘোষ, শতরূপ ঘোষেরা। মিছিলের পাশাপাশি, শহরের ফোয়ারা মোড়ে অবস্থান-বিক্ষোভেও শামিল হন তাঁরা। রাত পর্যন্ত চলে অবস্থান-বিক্ষোভ।
দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি সূর্যকান্তের পরামর্শ, ‘‘জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য নয়, মানুষের কাজ করার জন্য বামপন্থীদের জন্ম। মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে।’’ পরে, তিনি বলেন, ‘‘৩৪ বছর বামেরা রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল। ৩৪ বছর সব ঠিক ছিল, আমরা কোনও দিন বলিনি। এই বার্তাও মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। ইতিহাস তিলে তিলে গড়তে হয়। তাই আমরা জানি, আমাদের আরও বহু দূর যেতে হবে।’’
পঞ্চায়েত ভোটের আগে, সূর্যকান্তের বার্তা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন দলেরই নেতা, কর্মীরা। কারণ, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে জেলায় ত্রিস্তরে বামেরা কোনও আসন পায়নি। এ দিন শহরের রথবাড়ি মোড় থেকে মিছিল করে, পুরো শহর পরিক্রমা করেন বামেদের নেতা, কর্মীরা। দুর্নীতির অভিযোগে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপিও দেন।
সূর্যকান্তের পাল্টা সমালোচনায় তৃণমূলের মালদহের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, ‘‘সূর্যকান্তবাবুরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারছেন, ভাল কথা। কিন্তু তাঁদের ভুল মানুষ কখনও ভুলবেন না।’’