—ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা দেওয়ার পর থেকে উত্তর দিনাজপুর জেলায় তাঁর অনুগামীরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিলে তাঁরাও বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা, সেই বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না তাঁরা। পাশাপাশি তাঁরা তৃণমূলে থাকবেন, এ কথাও নিশ্চিত করে বলছেন না।
তৃণমূলের অন্দরমহলের খবর, শুভেন্দুর অনুগামী বলে পরিচিত রায়গঞ্জ পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম অধিকারী বৃহস্পতিবার সকালে রায়গঞ্জ ছেড়ে অন্যত্র রওনা হয়েছেন। যা অর্থবহ বলে মনে করছেন অনেকে। অন্য দিকে, এ দিন দুপুরে কর্ণজোড়ায় জেলা পরিষদ ভবনে জেলা পরিষদের একাধিক তৃণমূল সদস্য শুভেন্দুর ধারাবাহিক পদক্ষেপ প্রসঙ্গে আলোচনাও করেছেন। তাঁরা সকলেই শুভেন্দুর অনুগামী বলে পরিচিত। প্রসঙ্গত, শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূল ও রাজ্য সরকারের দূরত্ব ঘোচানোর প্রার্থনা জানিয়ে নভেম্বর মাসে রায়গঞ্জের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণপল্লি এলাকায় দেবপুরী মহাদেব মন্দিরে একাধিক বার পুজো দিয়েছিলেন দাদার অনুগামীরা। স্থানীয় কাউন্সিলর অসীমের নেতৃত্বেই ওই কর্মসূচি পালন করা হয়। সেই সময় উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের তৃণমূল প্রভাবিত চালক ও শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস সম্পাদক কৌশিক দে সহ তাঁর অনুগামীরাও দাদার সঙ্গে রয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন।
এ দিন অসীম বলেন, “আমি কেদারনাথ বেড়াতে যাচ্ছি। তাই আমার ও দাদার অনুগামীদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন মন্তব্য করব না।”
জেলা পরিষদের তৃণমূলের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ পূর্ণেন্দু দে বলেন, “জেলা পরিষদের তৃণমূলের সদস্যরা বর্তমানে তৃণমূলেই রয়েছেন।” জেলা পরিষদের তৃণমূলের এক কর্মাধ্যক্ষের কথায়, “জেলা পরিষদের ২৫ জন তৃণমূল সদস্যের মধ্যে বেশির ভাগ সদস্য শুভেন্দুদার অনুগামী। শুভেন্দুদা বিজেপিতে যোগ দিলে তাঁরাও যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। শুভেন্দুদার অনুগামী বলে পরিচিত দলের ব্লক ও জেলা স্তরের অনেক নেতা ও কয়েক জন বিধায়কও পরিস্থিতির উপরে নজর রেখেছেন।”
জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, “জেলায় দলের কোনও নেতা বা কর্মী বিজেপিতে যোগ দেবেন না। জেলা নেতৃত্ব সবার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন।”