নজরে: বাণগড়ের প্রত্নক্ষেত্র। নিজস্ব চিত্র
বাণগড়ে আবার খননের কাজ শুরুর জোরদার দাবি জানালেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। গত মঙ্গলবার সংসদে তিনি বাণগড়ের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করেন। পাশাপাশি, বাণগড়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা পৌরাণিক কাহিনি তুলে ধরে এই জায়গাকে হেরিটেজ স্থান হিসেবে ঘোষণা করার দাবিও করেন তিনি। সুকান্ত বলেন, ‘‘বাণগড়ে কয়েক হাজার বছরের প্রাচীন নগর সভ্যতার নির্দশ পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি মহাভারতের কাহিনি, কৃষ্ণ, বাণরাজা, তাঁর কন্যা ঊষার কাহিনিও বাণগড়ের সঙ্গে জড়িত। তাই এই জায়গার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের উদাসীনতায় খনন কিছুটা হয়েই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’’ তিনি জানান, গোটা এলাকাটি অযত্নে পড়ে রয়েছে। সুকান্ত বলেন, ‘‘আমি চাই এখানে আবার খনন শুরু হোক। এই জায়গাকে হেরিটেজ ঘোষণা করে একে দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে তোলা হোক।’’
সূত্রের খবর, গঙ্গারামপুরের বাণগড়ে যে ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে তা প্রায় আড়াই হাজার বছরের পুরনো প্রাচীন নগর সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ। সেই সময়ের নগর সভ্যতার বিভিন্ন পুরাতাত্ত্বিক নির্দশনও পাওয়া গিয়েছে। বাণগড়ের এই ঐতিহাসিক গুরুত্ব উপলব্ধি করে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের পটনা শাখা ২০০৭ সালে এখানে খননকাজ শুরু করেছিল। প্রচুর পুরাতাত্ত্বিক নির্দশনও পাওয়া যায়। সেই সব নির্দশন বাণগড়েই রয়েছে। কিন্তু তারপরে আচমকাই খননকাজ বন্ধ হয়ে যায়। দ্বিতীয় বার খননে উদ্যোগী হয়নি এএসআই। অন্যদিকে, এই জায়গার ঐতিহাসিক গুরুত্বের পাশাপাশি এরসঙ্গে পৌরাণিক কাহিনীও জড়িয়ে রয়েছে। যেহেতু সর্বেক্ষণ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন, তাই সুকান্ত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কাছে এই বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন করেছেন।