আসছেন বক্সী, বৈঠক তৃণমূলের

দলের অন্দরের খবর, লোকসভার ফল ঘোষণা পরবর্তী দলীয় সাংগঠনিক অবস্থা খতিয়ে দেখবেন তিনি। রবিবার রাতে দলের জেলা কোর কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করার কথাও রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৯ ০৩:২৪
Share:

সুব্রত বক্সী। ফাইল চিত্র।

একদিকে লোকসভা ভোটে হারের ধাক্কা। অন্যদিকে দলবদলের প্রবণতা। দুইয়ের জেরে কোচবিহারে ফের দলকে ঘুরে দাঁড় করানোই তৃণমূলের বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে আজ, রবিবার কোচবিহারে আসছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।

Advertisement

দলের অন্দরের খবর, লোকসভার ফল ঘোষণা পরবর্তী দলীয় সাংগঠনিক অবস্থা খতিয়ে দেখবেন তিনি। রবিবার রাতে দলের জেলা কোর কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করার কথাও রয়েছে। সেখানেই সামগ্রিক অবস্থা পর্যালোচনা করার কথা রয়েছে বলে দল সূত্রে খবর। সোমবার জেলার বেশকিছু এলাকা সরেজমিনে দেখতে যেতে পারেন রাজ্য সভাপতি-সহ অন্য নেতারা। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ দলের রাজ্য সভাপতি তথা জেলার পর্যবেক্ষক সুব্রতবাবুর জেলায় পৌঁছনোর কথা। ওই রাতে কোর কমিটির বৈঠক হওয়ার কথাও রয়েছে।”

কোচবিহারে এ বারের লোকসভা ভোটে ৫৪ হাজারের বেশি ভোটে বিজেপির নিশীথ প্রামাণিকের কাছে পরাজিত হন তৃণমূলের পরেশ অধিকারী। ওই হারের ধাক্কার পরে সাংগঠনিক রদবদলও করেন শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও ফল ঘোষণার পর থেকেই কোচবিহারে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, কর্মী-সমর্থকের একাংশ দলবদল করে বিজেপিতে সামিল হয়েছেন। তৃণমূলের অবশ্য অভিযোগ, বিজেপি জেলা জুড়ে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করেছে। নানাভাবে কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে। হামলাও হচ্ছে। এমন অবস্থায় কীভাবে কর্মীদের মনোবল ধরে রাখা যায় তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। সব কিছু নিয়েই রাজ্য নেতৃত্বের দেখানো পথেই এগোতে চাইছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতারা। দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মতো পদক্ষেপ করা হবে।” দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “যা বলার বৈঠকে বলব।”

Advertisement

যদিও সাংগঠনিক ভিত দ্রুত ফের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যে সহজ নয়, তা বলছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। বিরোধীদের অভিযোগ, তুফানগঞ্জে বাড়ি তৈরির প্রকল্পে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে এক কাউন্সিলরের বাড়িতে বিক্ষোভের ঘটনাও হয়েছে। পুরসভা কর্তৃপক্ষ ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু এমন অভিযোগে বিক্ষোভটাই দলের কাছে অস্বস্তিকর। এমন নানা অভিযোগ নিয়ে ওঠা প্রশ্নও সামলাতে হবে। তাই কাজটা মোটেই সহজ হবে না। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি মালতী রাভা বলেন, “জনগণ তৃণমূলের কাছ থেকে সরে গিয়েছেন। কাটমানি নিয়েও মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। কোনও নেতা এলেই অবস্থা বদলাবে না। মানুষ বিজেপির পাশে আছে।” সেইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের তোলা সন্ত্রাসের অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement