সরণিতে: অনলাইনে সমস্যার জেরে বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার কলেজে পরীক্ষার খাতা জমা দিতে পড়ুয়াদের। নিজস্ব চিত্র।
অনলাইনে পরীক্ষা শুরুর দিনেই পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষা শুরু হয়। এ দিন দুই দফায় পরীক্ষা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টাল থেকে প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করে ঘরে বসেই পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়। উত্তরপত্রও ওই পোর্টালে আপলোড করার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এ দিন দুই ক্ষেত্রেই পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে।
প্রথমার্ধে নির্ধারিত সময়ে সার্ভার অকেজো হওয়ায় প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করতে পারেননি অনেকেই। আবার উত্তরপত্র আপলোড করতেও সমস্যা দেখা দেওয়ায় কলেজে ছুটতে হয়েছে তাঁদের। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে অবশ্য দাবি, পুরো বিষয়টিই নিছক দুর্ঘটনা। বিকল্প ব্যবস্থায় দ্রুত প্রশ্নপত্র পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। যাঁরা কলেজে এসে উত্তরপত্র জমা করতে পারছেন না তাঁদের জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজের ই-মেলে তা পাঠানোর ব্যবস্থাও করা হয়। দ্বিতীর্য়াধে অবশ্য এতটা সমস্যা হয়নি। পরীক্ষার্থীদের একাংশ দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগ, বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমস্যাতেও জেরবার হয়েছেন বলেও অভিযোগ।
উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রথমার্ধে সার্ভারের সমস্যা হওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে ব্যাকঅ্যাপ পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নপত্র পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি থাকায় সুবিধে হয়। একজন পরীক্ষার্থীরও ক্ষতি হবে না। এমন পরিস্থিতির জন্য কলেজের অধ্যক্ষদের অবস্থা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।” বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আব্দুল কাদের সাফেলি বলেন, “দ্বিতীয়ার্ধের পরীক্ষায় পোর্টাল কাজ করেছে। যাঁরা কলেজে আসতে পারেননি তাঁরা যাতে ই-মেল করে উত্তরপত্র জমা দেন সে ব্যবস্থা হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহারের ১৪টি কলেজে বিএ, বিকম, বিএসসি চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ, এমকম, এমএসসি পড়ুয়াদেরও পরীক্ষা হচ্ছে। সবমিলিয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। এদিকে উত্তর লিখেও উত্তরপত্র আপলোড করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে হলদিবাড়ি নেতাজী সুভাষ মহাবিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়াদের একাংশ। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই উত্তরপত্র জমা নেওয়ার কথা জানালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ওই মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উত্তরপত্র জমার কাজ শুরু হয়।’’ পরীক্ষা চলাকালীন বিদ্যুৎ বিভ্রাটেরও অভিযোগ উঠেছে আলিপুরদুয়ারে। আলিপুরদুয়ার মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অমিতাভ রায় জানান, পরীক্ষা চলাকালীন কলেজে দু'বার লোডশেডিং হয়।আলিপুরদুয়ারের বিবেকানন্দ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোবিন্দ রাজবংশী বলেছেন, ‘‘মিনিট দশেক পর আমরাও প্রশ্নপত্র কলেজের ওয়েবসাইটে দিয়ে দিই।’’