‘নদীর জল খাও’, উত্তাল গৌড়বঙ্গ

ছাত্রাবাসে পানীয় জলের সমস্যার মতো একাধিক ইস্যুতে আবাসিকদের বিক্ষোভে উত্তাল হল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার রাত দশটা থেকে রাতভর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নীচতলায় দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান প্রায় ৩৫জন আবাসিক ছাত্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মালদহ শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:৫৭
Share:

ফাইল চিত্র।

ছাত্রাবাসে পানীয় জলের সমস্যার মতো একাধিক ইস্যুতে আবাসিকদের বিক্ষোভে উত্তাল হল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার রাত দশটা থেকে রাতভর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নীচতলায় দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান প্রায় ৩৫জন আবাসিক ছাত্র। শুক্রবার বেলা ১১ টা থেকে ফের প্রায় ৫০ জন আবাসিক পড়ুয়া উপাচার্যের দফতরের সামনের বারান্দায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, ইন্সপেক্টর অব কলেজেস থেকে শুরু করে পরীক্ষা নিয়ামক, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা দফায় দফায় পড়ুয়াদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও সন্ধে অবধি আন্দোলন চলেছে বলেই খবর। সূত্রের খবর, সামনেই পরীক্ষা থাকায় শুক্রবার সন্ধে সাতটা নাগাদ নিজেরাই আন্দোলন তুলে নেন পড়ুয়ারা।

Advertisement

বাপ্পা দাস, ছোটন সরকার, জাহির হোসেনদের মতো আবাসিক পড়ুয়ারা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলায় আবাসের পানীয় জল পরিশোধক থেকে জল পড়ছিল না। সে কথা হস্টেল সুপারকে জানালে তিনি মহানন্দা নদীর জল খেয়ে থাকতে বলেন বলে খবর। এরপর রাত থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করা হয় বলে তাঁদের দাবি। তাঁরা আরও জানান, এ দিন ভোর চারটে নাগাদ একদল বহিরাগত এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন থেকে তাঁদের বার করে দেয়। পরে বেলা ১১টা থেকে তাঁরা ফের উপাচার্যের দফতরের সামনের বারান্দায় বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রেই খবর, ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব হস্টেল তৈরির কাজ চলছে অন্তত বছর চারেক ধরে। এখন ইংরেজবাজােরর মাধবনগরে মহানন্দা নদীর পাড়ে পুরসভার একটি ভবনের তিন ও চারতলায় ছাত্রাবাসটি চলছে। ছাত্রী নিবাসটি রয়েছে মালদহ মহিলা কলেজের কাছাকাছি একটি ভবনে। ছাত্রাবাসে ৩৫ জন ও ছাত্রীবাসে ২০ জন পড়ুয়া থাকেন।

Advertisement

এ দিন দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে উপাচার্য স্বাগত সেন বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতেই সাড়ে নটা নাগাদ একাধিক আধিকারিক ও শিক্ষক হস্টেলে পানীয় জল নিয়ে যান। কিন্তু পড়ুয়ারা তার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান। পড়ুয়াদের হস্টেলে ফিরতে বললেও তাঁরা আসেননি।’’ তাঁর দাবি, হস্টেলের সমস্যা হস্টেলে মেটাতেই উপাচার্য নিজে ও অন্যান্যরা ভোর চারটে পর্যন্ত হস্টেলেই ছিলেন। রাতে হস্টেলে গিয়ে পানীয় জলের সমস্যাও দেখা যায়নি।’’ তাঁর দাবি, কোনও পক্ষ থেকে ছাত্রদের প্রভাবিত করেই এমন আন্দোলন করানো হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement