নিজস্ব চিত্র
স্কুলের ৩৫ শতাংশ পড়ুয়া উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। ফলপ্রকাশের পরেই স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন শিলিগুড়ির বাগডোগরার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিদ্যালয়ের ওই অনুত্তীর্ণ পড়ুয়ারা। তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা। মুখে স্লোগান, ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর হায় হায়’, ‘শিক্ষাব্যবস্থা হায় হায়’।
শনিবার দুপুর থেকেই স্কুলের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করা পড়ুয়ারা। এর পর হাতে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে স্কুলের গেটের সামনে বসে পড়েন তাঁরা। অনুত্তীর্ণ পড়ুয়াদের দাবি, তাঁদের পাশ করাতে হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষের থেকে বিক্ষোভের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় বাগডোগরা থানার পুলিশ। ওই পুলিশকর্মীরাই ওই পড়ুয়াদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তাঁদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ওই পড়ুয়ারা বোর্ডের পরীক্ষায় ফেল করেছেন। এতে তাদের তরফে কিছু করার নেই। এক শিক্ষক বলেন, ‘‘ওঁদের যদি মনে হয়, ওঁরা কম নম্বর পেয়েছে, তা হলে তো খাতা রিভিউ করানোর জন্য আবেদন করতে পারে।’’ বিক্ষোভকারী অনুত্তীর্ণ পড়ুয়াদের হাতে রাজ্যের শাসকদলের পতাকা থাকায় এ নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিতে শুরু করেছেন বিরোধীরাও।
তবে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি (সমতল) পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘সব থেকে খারাপ লাগছে ছোট ছোট বাচ্চাদেরও রাজনীতির মধ্যে টেনে আনা হচ্ছে। রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়েছে ওঁরা। যে হেতু সামনে নির্বাচন, তাই তৃণমূলের পতাকা পেতে ওঁদের কোনও সমস্যা হয়নি। বাচ্চাদের হাতে শাসকদলের পতাকা ধরিয়ে যে স্লোগান দেওয়ানো হয়েছে, তা অপরাধ। বিজেপি ছাড়া এ কাজ আর কে করবে?’’
এর প্রেক্ষিতে বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ বলেন, ‘‘ছাত্ররা কী করেছে, সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। গোটা ঘটনার পিছনে বিজেপি রয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে বলব, বিজেপি এ ধরনের ঝান্ডার রাজনীতি করে না। ছাত্রদের নিয়ে রাজনীতি আমরা কখনওই করি না।’’