South Dinajpur University

বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সমস্যা’ নিয়ে পড়ুয়াদের প্রশ্ন জেলাশাসককে

সমস্যার কথা এ দিন শোনেন জেলাশাসক। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে দাবি প্রথম থেকেই সমস্যাগুলির কথা জেলা প্রশাসনের কাছে জানানো রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:০২
Share:

দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মুখোমুখি জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ। নিজস্ব চিত্র।

‘‘স্যর, আমাদের স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ কবে হবে? কবে আমরা নিজস্ব ভবনে ক্লাস করার সুযোগ পাব? অস্থায়ী ভবনে শৌচাগারগুলো খুব একটা ভাল নয়। একটু দেখবেন...’’— জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণকে সামনে পেয়ে, দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের দীপান্বিতা সাহা, নীলাঞ্জন করের সঙ্গে এক দল ছাত্রছাত্রী এমন প্রশ্ন করলেন। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী প্রাঙ্গণে ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দিতে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন জেলাশাসক। বিষয়গুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনার আশ্বাস দেন তিনি।

Advertisement

সমস্যার কথা এ দিন শোনেন জেলাশাসক। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে দাবি প্রথম থেকেই সমস্যাগুলির কথা জেলা প্রশাসনের কাছে জানানো রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে চেষ্টা চলছে জেলা প্রশাসনের তরফেও। জেলাশাসক এ দিন বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের সমস্যার কথা শুনলাম। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সেগুলির সমাধানের জন্য পাঠাব।’’

২০২১ সাল থেকে পঠনপাঠন শুরু হয় দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। যদিও এত দিন অনলাইন ক্লাসই হয়েছে। রাজ্যপাল নিযুক্ত অস্থায়ী উপাচার্য দেবব্রত মিত্র দায়িত্বভার নেওয়ার পরে, অফলাইন ক্লাস চালু করেছেন। তা এখন হচ্ছে বালুরঘাট গার্লস কলেজের একটি ভবনে। সেই ভবনটিতে ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্লাস হওয়ার কথা। তার পরে ক্লাস হওয়া নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে পুরসভার একটি চুক্তি হওয়ার কথা। তা এখনও সম্পন্ন হয়নি বলেই বিশ্ববিদ্যালয় এবং পুরসভার সূত্রে খবর।

Advertisement

অস্থায়ী উপাচার্য দেবব্রত মিত্র বলেন, ‘‘সার্বিক ভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে, যাতে প্রশাসনের সহযোগিতায় ছাত্রছাত্রীদের অফলাইন ক্লাস বজায় রাখা যায়।’’

বালুরঘাট বিমানবন্দরের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীর তোলা নিজস্ব জমি রয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতে বিমানবন্দর বাড়তে পারে, এই সম্ভাবনায় এবং রাজ্য সরকারের তহবিলে ‘টান’ রয়েছে বলে সেখানে নিজস্ব ভবন তৈরি করতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং আধিকারিকের বেশ কিছু পদও বিশ্ববিদ্যলয়ে খালি পড়ে রয়েছে। সুষ্ঠভাবে পঠন-পাঠন চালু রাখতে ওই পদগুলি দ্রুত পূরণ করা দরকার বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement