uniform

আমাদের ইউনিফর্ম ফিরিয়ে দাও, নতুন নীল-সাদা পোশাক ছিঁড়ে পড়ুয়াদের প্রতিবাদ কোচবিহারের স্কুলে

একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী বলে, ‘‘৭০ বছর ধরে স্কুলের পোশাকের রং সবুজ-সাদা। হঠাৎ স্কুলের পোশাকের রং বদলে গেল! ক্লাস ফাইভ থেকে পোশাক দেওয়া শুরু হয়েছে। আমরা কেউ এই পোশাক পরব না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:১১
Share:

সরকারের দেওয়া ইউনিফর্ম ছিঁড়ে প্রতিবাদ পড়ুয়াদের। নিজস্ব চিত্র।

ইউনিফর্মের রং বদলে নীল-সাদা করার প্রতিবাদে সরকারের দেওয়া পোশাক ছিঁড়ে স্কুলের মধ্যেই বিক্ষোভ দেখাল কোচবিহার-২ ব্লকের মণীন্দ্রনাথ হাই স্কুলের পড়ুয়ারা। স্কুলের সবুজ-সাদা পোশাকের পরিবর্তে নীল-সাদা পোশাক তারা মেনে নেবে না বলে দাবি করেছে।

Advertisement

স্কুলের পক্ষ থেকে বুধবার ছাত্র-ছাত্রীদের নীল-সাদা স্কুলের পোশাক দেওয়া হলে সেই পোশাক ছিঁড়ে জানলা দিয়ে ফেলে দেয় পড়ুয়ারা। একই সঙ্গে স্কুলের মাঠে ছাত্রছাত্রীরা জমায়েত হয়ে স্কুলের পোশাক পরিবর্তনের প্রতিবাদ জানায়। সেখানেও নীল-সাদা পোশাক ছিঁড়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়।

মণীন্দ্রনাথ হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সায়ক সরকার জানায়, সবুজ-সাদা পোশাকই তাদের স্কুলের ঐতিহ্য। সেই রং পরিবর্তন করে নীল-সাদা পোশাক কখনও মেনে নেওয়া হবে না বলেই দাবি তার। একই সুর একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর সায়না বানুর গলায়। সে বলে, ‘‘৭০ বছর ধরে স্কুলের পোশাকের রং সবুজ-সাদা। হঠাৎ স্কুলের পোশাকের রং বদলে গেল! ক্লাস ফাইভ থেকে পোশাক দেওয়া শুরু হয়েছে। আমরা কেউ এই পোশাক পরব না।’’

Advertisement

স্কুল কর্তৃপক্ষ যদিও দাবি করেছেন, এই প্রতিবাদের বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না। স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক বীরেশ রায় বলেন, ‘‘সরকারি ভাবে নীল-সাদা পোশাক দেওয়া হয়েছে। সেই পোশাক ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ক্লাসকে পোশাক দেওয়া হয়ে গিয়েছে। কিছু ক্লাসে এখনও দেওয়া বাকি। তবে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা পোশাক ছিঁড়ে ফেলেছে কি না সেই বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই।’’ তিনি আরও জানান, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ছাত্রছাত্রীদের পোশাক দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই পোশাক ছাত্রছাত্রীরা পরবে কি পরবে না, সে বিষয়ে স্কুলের পক্ষ থেকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।

প্রসঙ্গত, সরকারি নীল-সাদা পোশাকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন চলছে জলপাইগুড়ি-সহ একাধিক জেলায়। স্কুলের চিরাচরিত পোশাক না বদলানোর আর্জি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement