Online Examination

নেট বিভ্রাট, খাতা হাতে ছুট কলেজে

কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কলেজগুলোর সঙ্গে স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষাও ছিল। সময় ভাগ করে তা নেওয়া হয়। শুরুতে বেলা ১০টা থেকে যাদের পরীক্ষা তার ৩০ মিনিট আগে প্রশ্নপত্র কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে মিলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২০ ০২:১১
Share:

প্রতীকী ছবি।

বলা হয়েছিল বাড়িতে বসেই প্রশ্নপত্র ‘ডাউনলোড’ করে উত্তর লিখে আধঘণ্টার মধ্যে উত্তরপত্র ‘আপলোড’ করে দিতে হবে। করোনা আবহে দূরত্ব বিধি মেনে কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য এমনই পদ্ধতি ঠিক করা হয়েছিল। বাস্তবে গোটা ব্যবস্থাটাই মুখ থুবড়ে পড়ল শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি শহরে। ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যার কারণে ‘আপলোড’ করা যাচ্ছিল না প্রশ্ন। এদিকে সময় পেরিয়ে গেলে উত্তরপত্র জমা না নেওয়ার বিধানও রয়েছে। তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উত্তরপত্র হাতে কলেজে ছুটতে দেখা গেল পরীক্ষার্থীদের। কেউ গাড়ি ভাড়া করে গেলেন, কেউ ঝড়ের গতিতে বাইক চালিয়ে গেলেন। কলেজে ভিড় হওয়ার কারণে দূরত্ব বিধি শিকেয় উঠতে দেখা গেল দুই শহরের কলেজগুলোতেই।

Advertisement

কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কলেজগুলোর সঙ্গে স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষাও ছিল। সময় ভাগ করে তা নেওয়া হয়। শুরুতে বেলা ১০টা থেকে যাদের পরীক্ষা তার ৩০ মিনিট আগে প্রশ্নপত্র কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে মিলেছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, একসঙ্গে অনেকে ওয়েবসাইট খোলার দরুণ শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট সার্ভার বসে যায়। তাতে সময়ে অনেকে প্রশ্ন ‘ডাউনলোড’ করতে পারেনি। শুরু হয় যারা পেয়েছেন তাঁদের থেকে জেরক্স করার পালা। এরপর বিপত্তি ঘটে উত্তরপত্র ‘আপলোড’ করার সময়। নেট সংযোগের সমস্যার কারণে ‘আপলোড’ করা যাচ্ছিল না বলে অভিযোগ। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যেতে পারে ভেবে শুরু হয় কলেজে যাওয়া। অভিভাবকদের প্রশ্ন, পরিকাঠামো সম্পর্কে একশো শতাংশ নিশ্চিত না হয়ে পরীক্ষার্থীদের এমন বিপাকে ফেলার কারণ কী?

জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজের ১০৪৬ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগকেই কলেজে এসে খাতা জমা করতে হয়েছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিগন্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ভিড় এড়ানোর চেষ্টা করেও সফল হতে পারিনি।’’ শহরের কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকার বলেন, ‘‘খাতা জমা দিতে ভিড় ছিল।’’ একই ছবি ছিল জলপাইগুড়ি প্রসন্নদেব মহিলা কলেজে। বাগডোগরা কলেজের অধ্যক্ষা মীনাক্ষী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রথম দিন ভাষা বিষয়ে পরীক্ষা বলে পরীক্ষার্থী বেশি।’’ শিলিগুড়ি কলেজের অধ্যক্ষ সুজিত ঘোষ বলেন, ‘‘অনেকে আপলোড করেও সংশয়ে ছিলেন। তাঁরা খাতা জমা করে গিয়েছেন। তাই ভিড় হয়েছিল।’’ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘‘শুরুতে সার্ভার বসে গিয়েছিল। মিনিট পনেরোর মধ্যে তা ঠিক করা হয়েছে। যে কোনও কলেজে পরীক্ষার্থীরা যাতে খাতা জমা করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement