উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের এক সহকারী ডিনের সামনে মারপিটে জড়িয়ে পড়লেন প্যারা মেডিক্যালের এক দল ছাত্র ও কর্মীদের একাংশ।
মঙ্গলবার দুপুরের ঘটনা। পুলিশ সূত্রের খবর, একটি মেডিক্যাল কলেজের প্যাথোলিজক্যাল ল্যাবরেটরিতে মেডিকাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার (এমসিআই) এক প্রতিনিধি দলের পরিদর্শন ছিল। প্যারা মেডিক্যালের ছাত্রদের অভিযোগ, এমসিআই-র দল এলে তাঁদের ওই চত্বরে থাকতে দেওয়া হয় না। এমনকী, মেডিক্যাল কলেজে প্যারা মেডিক্যালের কোর্স নিয়েও ঠিকঠিক কিছু জানানো হয় না। তা নিয়ে প্রিন্সিপালের ঘরের সামনে প্রতিবাদ করতে গেলে কর্মীদের একাংশ তাঁদের মারধর করেন বলে ছাত্রদের দাবি।
কর্মীদের পাল্টা দাবি, মেডিক্যালের এক কর্মীর আত্মীয়ের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট ওই ছাত্ররা ঠিকঠাক করছিল না। তা নিয়ে কথা বলার সময়ে ছাত্ররাই চড়াও হয়।
পুরো ঘটনাটি ঘটেছে মেডিক্যাল কলেজের সহকারি ডিন (ছাত্র বিষয়ক) সন্দীপ সেনগুপ্তের সামনেই। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনাটি একেবারেই অনভিপ্রেত। রিপোর্ট দেব। এর থেকে বেশি কিছু বলছি না।’’
ঘটনার জেরে দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে দৌড়াদৌড়িও শুরু হয়। খবর পেয়ে মেডিক্যাল ফাঁড়ি থেকে পুলিশও যায়। প্যারা মেডিক্যাল ছাত্রদের পক্ষ থেকে মামুনাল রসিদ বলেন, ‘‘আমাদের মারধর করা হয়েছে। এমসিআই-এর সামনে আমাদের থাকতেই দেওয়া হচ্ছে না। প্রিন্সিপালকে ব্যবস্থা নিতে হবে।’’
পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের পক্ষে প্রশান্ত সরকার বলেন, ‘‘ওঁরা ওই এলাকায় জড়ো হয়েছিল। সেখানে আমাদের এক কর্মী রক্ত পরীক্ষা নিয়ে কথা বলতে গেলে ওরাই তাড়া করে মারধর করেছে। আমরা সুবিচার চাই।’’
মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল সমীর ঘোষ রায়কে টেলিফোনে পাওয়া যায়নি। তাঁর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।