প্রতীকী চিত্র
সোশ্যাল মিডিয়ায় কলেজছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ‘পোস্ট’ করার নালিশ জানানোর পরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হরিশ্চন্দ্রপুরেরই একটি গ্রামে বাড়ি ওই ছাত্রীর। অন্য এলাকার পরিচিত দুই যুবক তাঁর আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ‘পোস্ট’ করেছিল বলে অভিযোগ। সেটি ‘ভাইরাল’ হয়ে যায়। পরে ছড়িয়ে পড়ে হোয়াটসঅ্যাপেও। লজ্জায় ওই তরুণী বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ।
এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, ওই ছবি যারা ‘শেয়ার’ করেছে তাদের কয়েক জনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কিন্তু ঘটনার এক মাস পরে মূল অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁরা যেতে চান বলে জানিয়েছেন ছাত্রীর পরিজনেরা।
ওই অভিযোগ মানতে চাননি মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত দুই যুবক এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের বাড়িতে একাধিক বার হানা দিলেও খোঁজ মেলেনি। তাদের ধরতে সব রকম চেষ্টা চলছে। ওই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তাও পুলিশ দেখছে।’’
পুলিশ ও ছাত্রীর পরিবারিক সূত্রে খবর, হরিশ্চন্দ্রপুর বাজারপাড়ার দুই যুবকের সঙ্গে ওই তরুণীর বন্ধুত্ব হয়। অভিযোগ, সেই সুযোগেই ওই তরুণীর ফোন থেকে ব্যক্তিগত কিছু ছবি এক যুবক নিজের মোবাইল ফেনে নিয়ে নেয়। তার পর থেকেই ওই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘পোস্ট’ করার হুমকি দিয়ে তরুণীকে আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়া শুরু হয় বলে অভিযোগ। তরুণী রাজি না হওয়ায় মাসখানেক আগে ফেসবুকে ওই ছবি পোস্ট করা হয়। ঘন্টাখানেক পরে ছবিটি ফেসবুক থেকে মুছে ফেলা হলেও ওই সময়ের মধ্যেই সেটি ‘ভাইরাল’ হয়ে যায়।
পারিবারিক সূত্রে খবর, মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন ওই তরুণী। পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। ওই কলেজছাত্রী বুধবার বলেন, ‘‘মোবাইল ফোনে অনেকেরই ব্যক্তিগত ছবি থাকতে পারেৈ। বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে ওই দু’জন আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে সেখান থেকে নিজের মোবাইলে কয়েকটা ছবি নিয়ে নেয়। তার পরেই নানা ভাবে আমাকে ব্ল্যাকমেল করা শুরু হয়। আপত্তিকর প্রস্তাবও দেওয়া হয়।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘এক মাস পরেও পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমি হতাশ। আমি বিচার চাই, তাই বাধ্য হয়েই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে হয়েছে।’’