প্রতীকী চিত্র
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের একটি গ্রামে ওই ঘটনায় জড়িয়েছে এক তৃণমূল নেতার নাম।
ওই ছাত্রীর পরিবারের নালিশ, শাসকদলের ওই নেতার ছেলের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ছেলেটি তার সঙ্গে একাধিক বার সহবাস করেন বলেও অভিযোগ। দু’বার বিয়ে করবে বলে তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে পালিয়েও যান। বিয়ে করতে অস্বীকার করায় মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁর মা।
এমন ঘটনায় তৃণমূল নেতা ও তাঁর পরিবারের নাম জড়ানোয় অস্বস্তিতে দলীয় নেতৃত্ব। তবে ওই ছাত্রীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন দলেরই একাংশ। অভিযোগ মানতে চাননি ওই তৃণমূল নেতা। চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর বাবা ভিন্ রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে তাঁর কোনও খোঁজ নেই। দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার চালান মা। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল বছর উনিশের ওই ছাত্রীর। অভিযোগ, এক বছরেরও বেশি ধরে প্রতিবেশী এক তৃণমূল নেতার ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই তৃণমূল নেতা হরিশ্চন্দ্রপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।
ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, কথা বলার জন্য ওই তৃণমূল নেতার ছেলে ওই তরুণীকে একটি মোবাইল ফোনও কিনে দিয়েছিলেন। বিয়ে করবে বলে দু’বার মেয়েকে বাড়ি থেকে নিয়ে পালিয়েও যান। অভিযোগ, তার জেরে উল্টে ওই তরুণী ও তাঁর মাকেই তৃণমূল নেতা ও পরিবারের লোকজন মারধর করেছিলেন।
ওই ছাত্রীর মা সোমবার বলেন, ‘‘আমরা গরিব মানুষ। ওঁদের দাপটে ভয়ে চুপ করে ছিলাম। রবিবার রাতে মেয়ের সঙ্গে ওই ছেলের তুমুল ঝগড়া হয়। তার পরেই এ দিন সকালে আমার মেয়ে ঘরে খিল এঁটে আত্মহত্যা করে। ওঁদের জন্যই মেয়ের জীবন শেষ হয়ে গেল। ওঁদের কঠোর শাস্তি চাই।’’
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ওই তৃণমূল নেতার দাবি, ‘‘ঘটনাটি দুঃখজনক। কিন্তু তার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। বদনাম করতেই এ সব করা হচ্ছে।’’