Homestay

রাজ্য হোমস্টে চালানোর প্রশিক্ষণ দেবে

সরকারি সিদ্ধান্তের পরে রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দফতরের তরফে প্রথমবার ‘ভিডিয়োগ্রাফি’র মাধ্যমে কোর্স মেটিরিয়াল তৈরি করা হচ্ছে। সার্বিক পরিষেবা, পরিকাঠামো, আবর্জনা প্রক্রিয়াকরণ, হাউসকিপিং থেকে শুরু করে হোমস্টে ঘিরে স্থানীয় সংস্কৃতি বা কৃষ্টিকে তুলে ধরতে ভিডিয়োগুলি তৈরির কাজ পুরোদমে চলছে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪ ১১:১৪
Share:

শুরু হল ভিডিয়ো প্রশিক্ষণ কোর্সের মেটিরিয়াল। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যের হোমস্টেগুলোর মান বাড়াতে এ বার নতুন করে সরকারি স্তরে প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হতে চলেছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সরকারি সিদ্ধান্তের পরে রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দফতরের তরফে প্রথমবার ‘ভিডিয়োগ্রাফি’র মাধ্যমে কোর্স মেটিরিয়াল তৈরি করা হচ্ছে। সার্বিক পরিষেবা, পরিকাঠামো, আবর্জনা প্রক্রিয়াকরণ, হাউসকিপিং থেকে শুরু করে হোমস্টে ঘিরে স্থানীয় সংস্কৃতি বা কৃষ্টিকে তুলে ধরতে ভিডিয়োগুলি তৈরির কাজ পুরোদমে চলছে।

Advertisement

উত্তরবঙ্গের চা বাগিচা, পাহাড় এবং তরাই এলাকায় এখন সেই কোর্সের চিত্রগ্রহণের কাজ পুরোদমে চলছে। তাতে প্রতিটি শাখা বা ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে শ্যুটিং চলছে। ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পের অধীন এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে তা হবে রাজ্য পর্যটন দফতরের হোমস্টে’র জন্য ভিডিয়ো কোর্স। পর্যটন দফতরের এক যুগ্ম সচিবের কথায়, ‘‘রাজ্যের হোমস্টে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে অত্য়ন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সরকারি ভাবে হোমস্টেগুলোর উন্নতির কাজ চলছে। সেই লক্ষ্যে ভিডিয়ো’র মাধ্য়মে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, পাহাড় বা সমতল সর্বত্র হোমস্টে রয়েছে। এলাকা ধরে ধরে এক সঙ্গে হোমস্টে-র মালিক, কর্মীদের ভিডিয়ো সহযোগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাতে বোঝার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে বলে দাবি।

পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে রাজ্যে প্রথমবার ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল হোমস্টে পলিসি’ তৈরি হয়। ২০১৯ ও ২০২২ সালে সংযোজন, সংশোধন করে আইন তৈরি হয়। ২০২০-’২১ সাল অবধি করোনার জেরে পর্যটন শিল্পে মন্দা আসে। পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতেরা বিপাকে পড়েন। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হোমস্টে তৈরিতে উৎসাহ দেওয়া শুরু হয়। হোমস্টে পলিসি মেনে হোমস্টে তৈরি করে তা সরকারি নথিভুক্ত করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মধ্যে সরকারিস্তরে হোমস্টেগুলো ঠিকঠাক তৈরি করে পরিষেবা দিচ্ছে কি না তা নিয়ে সমীক্ষাও শুরু হয়েছে। পাশাপাশি তৈরি শুরু হল ভিডিয়ো প্রশিক্ষণ কোর্সের মেটিরিয়াল।

Advertisement

গত সেপ্টেম্বর অবধি অবধি রাজ্যের ২৩টি জেলায় হোমস্টের সংখ্যা ২৩৭৩টি। সবচেয়ে বেশি হোমস্টে কালিম্পং জেলায়, ১০৭০টি। সবচেয়ে কম পশ্চিম বর্ধমানে তিনটি। দার্জিলিঙে ৩১০টি, জলপাইগুড়িতে ১৩৮টি হোমস্টে নথিভুক্ত হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা দফতরের এক অফিসার জানান, হোমস্টে পরিচালনা করা নিয়েই মূলত ভিডিয়োগুলো তৈরি হচ্ছে। এক জন অতিথি গেলে তাঁর থাকা, খাওয়া, মনোরঞ্জন সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে কী কী দেখা প্রয়োজন তা শেখানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি রাঁধুনি কী কী সতর্কতা নেবেন, সব ভিডিয়োয় থাকবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement