প্রতীকী ছবি।
কোনও ওয়ার্ডে দু’জন, কোনও ওয়ার্ডে আবার প্রার্থী তালিকায় তিনজনের নাম রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠাল তৃণমূল। সোমবার, ইংরেজবাজার পুরসভার ২৯টি ওয়ার্ডের জন্য প্রায় ৬৭ জনের নামের তালিকা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব রাজ্যে পাঠিয়েছে। তার ফলে, প্রার্থী-ভাগ্য এখন রাজ্য নেতৃত্বের হাতে।
সেই তালিকায় শহরের ‘ওজনদার’ নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, দুলাল সরকার, নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির নাম থাকলেও বাদ গিয়েছেন প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। একই সঙ্গে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় বিজেপির দুই নেতা, নেত্রীরও নাম পাঠানো হয়েছে বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় বিজেপি শিবিরের দু’জনের নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। এই খবরে অস্বস্তি বিজেপি শিবিরেও। যদিও নাম পাঠানো ইস্যুতে মন্তব্য করতে নারাজ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
গত বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে ইংরেজবাজার পুরসভায় তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে। তার পর জেলা কমিটির পরিবর্তন হয়েছে। জেলা থেকে রাজ্য মন্ত্রিসভায় প্রতিনিধিত্ব হয়েছে। তাতে ভোট ব্যাঙ্ক ফিরবে কিনা তা সময় বলবে। তবে পুরপ্রার্থী বাছাই করতে তৃণমূলকে এ বারেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, রাজ্য থেকে ইংরেজবাজারের প্রার্থীদের নামের তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়। সেই অনুযায়ী ওয়ার্ড পিছু প্রার্থীদের নামের তালিকা রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। বিদায়ী কাউন্সিলরদের পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে ওয়ার্ড পিছু কোথাও আরও দু’জন, কোথাও আবার তিনজন করে নাম পাঠানো হয়েছে।
এ বারে সংরক্ষণের গেরোয় শহর তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি, আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি শুভদীপ স্যানাল, পুরাতন মালদহের শহর সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস, দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর আশিস কুণ্ডু নিজেদের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারছেন না। তাঁদেরও নাম অন্য ওয়ার্ড থেকে পাঠানো হয়েছে। কৃষ্ণেন্দু, দুলালদের নাম পাঠানো হলেও বাদ গিয়েছেন নীহার। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির এক নেতা এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির এক নেতার স্ত্রীর নাম পাঠানো হয়েছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, “দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।”
বিজেপির দক্ষিণ মালদহের সভাপতি পার্থসারথি ঘোষ বলেন, “যাঁদের নিয়ে চর্চা হচ্ছে তাঁদের অনেকেই তৃণমূল থেকে এসেছিলেন। ফের তাঁরা দলবদল করলে দল তাঁদের আটকাবে না।”