ফাইল চিত্র।
বাছাই করা জনজাতি, ব্যবসায়ী, কৃষক, রাজবংশী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের রাজ্যপালের কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি। সূত্রের খবর, নভেম্বরে উত্তরবঙ্গ সফরে এসে কয়েক দিন জলপাইগুড়ি জেলাতেও থাকতে পারেন জগদীপ ধনখড়। সে সময়ে ওই সংগঠনের প্রতিনিধিদের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে ডাক পড়তে পারে। তিনি যদি জেলায় না-ও আসেন, তাতেও জলপাইগুড়ির বিজেপি নেতাদের সঙ্গে তাঁর দেখা হতে বাধা নেই। বিজেপি সূত্রে খবর, সে ক্ষেত্রে তাঁরা যেতে পারেন দার্জিলিঙের রাজভবনে। তাই স্থান যেখানেই হোক, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, জেলার বেশ কয়েকটি পরিচিত অরাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে কথাবার্তাও পাকা। সেই সংগঠনের প্রতিনিধিরা রাজ্যপালকে ‘বিজয়ার শুভেচ্ছা’ জানাতে যাবেন বলে খবর।
মাসখানেকের জন্য রাজ্যপালের উত্তরবঙ্গে এসে থাকবেন— এই খবর জানাজানি হতেই রাজনৈতিকস্তরে চর্চা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, একাধিক সামাজিক এবং অরাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে দেখা করাই রাজ্যপালের কর্মসূচি হতে পারে। জলপাইগুড়ির ক্ষেত্রে যেমন দুটি অরাজনৈতিক আদিবাসী সংগঠনের ডাক পড়তে পারে। বিজেপির এক চা শ্রমিক নেতা তথা জনপ্রতিনিধি ওই দুই আদিবাসী সংগঠনকে রাজ্যপাল-সাক্ষাতে রাজি করিয়েছেন। রাজবংশীদের একটি বৃহৎ সংগঠনের জলপাইগুড়ির প্রতিনিধিরা দেখা করতে যাবেন বলেও খবর। উত্তরবঙ্গের এক বিজেপি সাংসদ ওই রাজবংশী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলেও জানা গিয়েছে। জলপাইগুড়ি শহর ও ডুয়ার্সের কয়েকটি ব্যবসায়ী সংগঠনও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারে। যেমন, জলপাইগুড়ি শহরের কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ডুয়ার্সের পুরনো কিছু ক্লাবের প্রতিনিধিরাও আছেন এই তালিকায়। তিনটি সাংস্কৃতিক মঞ্চের প্রতিনিধিরাও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে খবর।
কীভাবে এই সাক্ষাতের প্রেক্ষিত তৈরি হবে? বাছাই করা সংগঠনগুলিকে সরাসরি রাজভবন থেকে ডাকা হতে পারে বলে খবর। অথবা, সংশ্লিষ্ট সংগঠন এবং ক্লাবগুলি নিজেরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার আবেদন করতে পারেন। এই সলতে পাকানোর কাজটি বিজেপি নেতারা করছেন বলে তৃণমূলের অভিযোগ। এই সাক্ষাতে বিজেপি লাভ দেখছে। তাদের কথায়, প্রতিটি সংগঠনের প্রশাসনের বিরুদ্ধে কিছু ক্ষোভ-বিক্ষোভ, দাবিদাওয়া, আর্জি থাকবে। সেগুলি রাজ্যপাল সরাসরি কেন্দ্রের কাছে পাঠানোর আশ্বাস দেবেন।
বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “যত দূর শুনেছি, অনেক জনজাতি গোষ্ঠী, ব্যবসায়ী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং বিভিন্ন ক্লাব নিজেদের আশা-নিরাশার কথা কেন্দ্রীয় সরকারকে জানাতে চান। তাঁরা হয়তো রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।”
জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর মন্তব্য, “বিজেপি রাজনীতি করার জন্য গণতান্ত্রিক কাঠামোই ধ্বংস করে দিতে চাইছে। যতই ছলকলা ওরা করুক, আগামী বিধানসভা রাজ্যের মানুষ আমাদের পাশেই থাকবেন।”