—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শিলিগুড়িতে ক্রিকেট নিয়ে বলতে গেলে সবার আগে যে প্রশ্নটা এখন উঠছে, তা হল ক্রিকেটের একটা মাঠ এবং স্টেডিয়ামের অভাব। আমাদের শিলিগুড়ি থেকে ঋদ্ধিমান সাহা, দেবব্রত দাস, কামাল হাসান মণ্ডল, রিচা ঘোষদের মতো ক্রিকেটার উঠে এসেছে। কেউ দেশের হয়ে, কেউ আইপিএল বা বাংলা দলের হয়ে মাঠে নেমেছে। ভবিষ্যতে দেশের ক্রিকেট মানচিত্রে এ ধরনের ক্রিকেটার আরও বেশি করে তুলে আনতে হলে, শহরে একটা ক্রিকেট মাঠ বা একটা স্টেডিয়ামের গুরুত্ব অপরিসীম।
রবিবার আমদাবাদে ভারত-অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচ দেখতে গিয়ে শিলিগুড়ির কিছু ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ শিলিগুড়িতে ক্রিকেট মাঠের দাবি তুলেছেন ব্যানার হাতে নিয়ে। স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে তাঁরা ওই দাবিতে সরব হন। বিষয়টি এবং সে সংক্রান্ত আবেগ অবজ্ঞা করার মতো নয়। মানুষ চাইছেন, শিলিগুড়িতে ক্রিকেট নিয়ে পরিকাঠামোগত ভাবে কিছু করা হোক। সেটা কিন্তু খুব জরুরি। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে শুধু ফুটবল খেলা হয়, না হলে হয়তো মাঠ নষ্ট হবে। কিন্তু শহরে ক্রিকেটের মাঠ নেই যেখানে বছরভর অনুশীলন হবে। উঠতি প্রতিভা তুলে আনতে তাদের খেলার সুযোগ করে দিতে হবে।
শহরের উপকন্ঠে একাধিক উপনগরী গড়ে উঠছে। এ ধরনের পরিকল্পনায় আধুনিক ক্রিকেট মাঠ, একটা ভাল স্টেডিয়াম রাখা দরকার। কিন্তু সেটা আজও হল না। মাটিগাড়ায় উপনগরীতে একটি মাঠ রয়েছে। তবে সেখানে পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। সেখানে একটি স্টেডিয়াম গড়ে তোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গেপাধ্যায় বাইরে থেকে কিউরেটর আনিয়ে মাঠ তৈরির ব্যবস্থা করবেন বলে এক সময় ঠিক ছিল। কিন্তু কিছু হল না। সরকারি স্তরে উদ্যোগের অভাব হয়তো। সিএবি'র উদ্যোগে সেখানে টার্ফ উইকেট করা হয়। ওই মাঠে আমরা কয়েক বছর লিগের ম্যাচ করছি। সেখানে ক্রীড়া পরিষদের ম্যাচ করতে গেলে, শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের, উপনগরী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়।
কাওয়াখালিতে একটি উপনগরী তৈরি হচ্ছে। সেখানে একটা স্টেডিয়াম করার দাবি ওঠে। এসজেডিএ'র এক বোর্ড সদস্যই সভাতে বিষয়টি তুলেছিলেন। এলাকার সাংসদ, বিধায়ক, মেয়র এক যোগে এগিয়ে এলে, এ ধরনের বড় পরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভবপর হবে। শিলিগুড়ি শহর বাড়ছে। এর পরে, সেখানে আলাদা করে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জায়গা আদৌ মিলবে কি না, সন্দেহ থেকে যায়।
(